সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরীফ উদ্দিনের অনিয়ম-দুর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতা,
বিদ্যালয়ের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎসহ শিক্ষার্থীদের সাথে অমানবিক নিষ্টুর আচরণ ও অভিভাবকদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
পৌর সভার গণক্ষাই গ্রামের নুরুল হক চৌধুরীর পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী এই অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত এই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগকারির ভাই
বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ১৮ আগষ্ট ক্লাস চলাকালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাকে ছুটি বা হাসপাতালে যেতে দেন নি। এমন কি বাড়িতে খবর পাঠাতে ও দেন নি তিনি। অসুস্থ এই শিক্ষার্থীর সাথে এ সময় অমানবিক ও নিষ্টুর আচরণ করা হয়েছে। পরে তাকে ছাতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ওসমানী হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে আসার পর ও প্রধান শিক্ষকের পোষ্য একটি দল তাকে হয়রানি ও হুমকি ধামকি দিয়েছে। বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা এক মুরব্বি ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী বাদশাহর সাথে ও খারাপ আচরণ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরীফ উদ্দিন।
বিদ্যালয়ের ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে এমন অভিযোগ করা হয়েছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অডিট কার্যক্রম ধামাচাপা দিয়ে সাবেক দুই সভাপতি শাহীন চৌধুরী ও তানভীর আহমদকে নিয়ে তিনি এসব টাকা আত্মসাৎ করেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজেও সভাপতিকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছেন। এসব অভিযোগ করে তদন্ত সাপেক্ষে এর বিচার ও প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করা হয়েছে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।