স্পোর্টস ডেস্ক,
দিন কয়েক আগেই জরুরি বোর্ড সভায় বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর নতুন বোর্ড সভাপতি হিসেবে বিসিবির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ফারুক আহমেদ। আজ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড মিটিংয়ে বসতে যাচ্ছে বিসিবি।
সভায় সবচেয়ে বড় ইস্যু হতে পারে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিষয়টি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও হাথুরুসিংহের চেয়ে ভালো কোচ পেলে তাকে সরিয়ে দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন নতুন সভাপতি।
এ ছাড়া সম্প্রতি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আলোচনায় উঠে আসা সাকিব আল হাসানকেও কথা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবির পরিচালক আকরাম খান জানান, সভায় অমিমাংসিত থাকা কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বোর্ড।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিসিবির বেশিরভাগ পরিচালক এখন আত্মগোপনে আছেন। বিসিবির বোর্ড সভার জন্য দরকার ৯ পরিচালক। ২৫ পরিচালকের বোর্ড সভায় অন্তত এক তৃতীয়াংশ পরিচালকের উপস্থিতির কথা উল্লেখ আছে বোর্ডের গঠনতন্ত্রে। তাই সর্বশেষ বোর্ড সভাতে কোরাম পূর্ণ হওয়া নিয়েও ছিল সংশয়। শেষমেশ কোরাম পূর্ণ হয় দুই নতুন পরিচালক ফারুক আহমেদ এবং নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কল্যাণে। নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড থেকে বোর্ড সভায় হাজির হয়েছিলেন কেবল ৮ পরিচালক।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক, শফিউর রহমান নাদেল, নাইমুর রহমান দুর্জয় কিংবা নাজমুল পাপনের মতো অনেকেই ছিলেন না সভায়। জরুরি বোর্ড সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন আকরাম খান, সাইফুল আলম স্বপন, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন, সালাউদ্দিন চৌধুরি, ইফতেখার আহমেদ মিঠু, কাজী ইনাম ও মাহবুব আনাম। আজকের সভাতেও তারাই থাকতে পারেন।
এদিকে, সভাপতির পদ ছাড়লেও আবাহনী থেকে কাউন্সিলর থাকা পাপন নিজেও এখনো পরিচালক পদে আছেন। পরিচালক হিসেবে এখনো আছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আরও ১৫জন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, টানা তিনটি বোর্ড সভায় যদি কোনো পরিচালক অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তার পদ শূন্য হয়ে যাবে। জানা গেছে, বেশ কয়েকজন পরিচালক এই মুহূর্তে অনুপস্থিত থাকায় তাদের দায়িত্বে থাকা কমিটিগুলো বর্তমান পরিচালকদের মধ্যে ভাগ হয়ে যেতে পারে।