বিনোদন ডেস্ক :
ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো। এদিকে এই বন্যায় সহায়তার কথা বলে তুমুল তোপের মুখে পড়েছেন সাবেক জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। পানিবন্দি অর্ধকোটির বেশি মানুষের বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন দেশের সব শ্রেণি – পেশার মানুষ। এদেরই একজন হওয়ার চেষ্টায় আছেন সুপারস্টার শাকিব খানের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী অপু।
যদিও অপু’র আগেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা – অভিনেত্রীরা। হঠাৎই বন্যার্তদের সহায়তায় ভিডিও বার্তা দিয়েছেন চলচ্চিত্রের এই বেকার অভিনেত্রী। ভিডিও বার্তা দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ছেন তোপের মুখে পড়েছেন। এর আগে চঞ্চল চৌধুরীকেও বেশ কড়া সমালোচনার বানে জর্জরিত করা হয়েছিল। এবার শিকার হলেন অপু। তার এই বন্যার পোস্টে তাকে ধুয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
জানা যায়, সম্প্রতি অপু বিশ্বাস এক ভিডিও পোস্ট করে জানান, তিনিও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন বন্যার্তদের জন্য। ভিডিও বার্তা পোস্ট দিয়ে অপু তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন – দেশে আকস্মিক বন্যায় অসহায় হয়ে পড়া মানুষের জন্য আমার পক্ষ থেকে ছোট্ট একটু উপহার। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হওয়ায় মনটা ভালো নেই। অসহায় হয়ে পড়া মানুষগুলোর আর্তনাদ দেখলে মন চায় ছুটে যাই তাদের কাছে। অসহায় বাচ্চাদের মায়াবী মুখগুলো দেখলে বুকটা ছটফট করে, কারণ আমার নিজেরও ছেলে আছে। এসব ছোট্ট বাচ্চাদের মাঝে আমি আমার ছোট্ট জয়কে খুঁজে পাই। কিন্তু আমার একমাত্র ছেলে জয়কে রেখে তাদের কাছে ছুটে যেতে পারছি না।
জানা গেছে, এমন বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সংস্পর্শে থাকা এই নায়িকা রোষানলে পড়েন নেটিজেনদের।তার এ কথার সূত্র ধরেই নেটিজেনরা মন্তব্য করে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। কেউ লিখছেন, ছোট্ট জয়কে রেখে সারা দেশে ফিতা কাটতে পারেন আর বন্যার্তদের কাছে যেতে পারেন না। এসব ভণ্ডামি ছাড়েন।
কেউ লিখছেন, আপার (শেখ হাসিনা) সঙ্গের ছবিগুলো কেন সরালেন। কেউ লিখেছেন, দান করছেন সেই জন্য ধন্যবাদ। বাট যে বাটপারি করেছেন সেই গুলো মানুষ মনে রাখবে।
অন্যদিকে, কেউ কেউ শেখ হাসিনার দোসর বলেও তকমা দিচ্ছেন অপু বিশ্বাসকে, কেউ বা বলছেন সুবিধাবাদী। এছাড়া অপু’র সেই পোস্টে শত শত কমেন্ট পড়েছে যার অধিকাংশই নেতিবাচক। অনেকেই তাদের ক্ষোভ ঝাড়ছেন ফিতা কাটায় পটু এই অভিনেত্রীর ওপর। এর কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব ছিলেন অপু বিশ্বাস।