মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি:::
সেনা বাহিনীর সরব উপস্থিতিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার উত্তপ্ত পরিবেশ ক্রমশ শান্ত হয়ে আসছে। থানায় পুলিশিং কার্যক্রম সক্রিয় না হওয়ায় ডাকাত আতঙ্কে বিভিন্ন গ্রামের লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পাড়া-মহল্লাায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ লাঠি, টর্চলাইট, বাঁশি নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
জানা যায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর-লুটপাটের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন এবং সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন। তারা রাত জেগে থাকছে। সেখানে গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। একেকটি গ্রুপে রয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন।
গত রোববার রাতে কমলগঞ্জ পৌরসভার গোপালনগর ও শমশেরনগর ইউনিয়নের ভাদাইর দেউলসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছাত্র-যুবকরা তাদের প্রতিবেশীসহ নিজের বাড়ির নিরাপত্তার জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। তারা জানান, এলাকায় কয়েক দিন ধরে ডাকাত আতঙ্কে আছি। তাই নিজেদের বাড়িঘর রক্ষা করতে তারা নিজেরাই পাহারার ব্যবস্থা করেছেন।
এ ব্যাপারে গোপালনগর এলাকার যুবক সঞ্জয় কান্তি দেব জানান, এলাকায় চুরি ডাকাতি প্রতিরোধে আমরা গ্রামের সবাই সম্মিলিতভাবে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।
এর মাঝেও গত শনিবার ভোররাতে কমলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গোপালনগর এলাকায় ২০/২৫ জনের দুটি সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল প্রবেশ করে ডাকাতির চেষ্টা করলে এলাকাবাসী জেগে উঠে লাঠিসোঠা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে ডাকাতদল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এই অবস্থায় সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিয়মিত টহল ও মন্দির পরিদর্শনে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।