রাশিয়ার মধ্যে ঢুকে দূরপাল্লার একটি সুপারসনিক বোমারু বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন। তাদের ড্রোনের হামলায় রুশ বিমান ঘাঁটিতে থাকা সুপারসনিক বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে।
সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের দক্ষিণে সোলটসি-টু বিমানঘাঁটিতে একটি সুপারসনিক বোমারু বিমানে আগুন জ্বলছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোট্ট একটি ড্রোনের আঘাতেই পুরো বিমানটি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে এ বিষয়ে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
টিইউ-২২ সুপারসনিক বম্বার শব্দের চেয়েও দ্বিগুণ গতিতে ছুটতে পারে। ইউক্রেনের শহরগুলোতে আক্রমণ করার জন্য এই বিমানটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, কপ্টার ধরনের একটি ড্রোন দিয়ে হামলা হয়েছিল মস্কোর সময় সোমবার সকাল ৮টার দিকে। হামলার আগে ড্রোনটিকে এয়ারফিল্ডের পর্যবেক্ষকেরা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল এবং ছোট অস্ত্রের গুলি দিয়ে আঘাত করেছিল। তার পরও এটি এসে আঘাত হানে এবং একটি বিমান পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি এবং কোনো হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এয়ারফিল্ডের পার্কিং লটে যে আগুন লেগেছিল তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা ছবিতে আগুনটিকে অনেক বড় মনে হয়েছে। এতে একটি বিমান ধ্বংস হলেও তা ক্ষতির দিক থেকে খুবই কম। কারণ এই বহরে রাশিয়ার ৬০টি বিমান রয়েছে। তবে, হামলাটি রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে হওয়ায় তা ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতাকে প্রকাশ করছে।
গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেন এ ধরনের মনুষ্যবিহীন ড্রোন দিয়ে কয়েক শ মাইল দূরে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতেও বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ হামলার স্থানটি ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে।
এদিকে ধ্বংস হওয়া টিইউ-২২ সুপারসনিক মূলত স্নায়ু যুদ্ধকালীন বোমারু বিমান। ইউক্রেন ছাড়াও এগুলো সিরিয়া, চেচনিয়া এবং জর্জিয়ার যুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছে। এর আধুনিক সংস্করণগুলো হলো—মাছ-২, যা ঘণ্টায় ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এবং ২৪ হাজার কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে পারে।