মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগে দুপুরের পর থেকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এর বাগান বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও নামফলক ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। কমলগঞ্জ থানা ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে তালাবদ্ধ ও পুলিশ শূণ্য রয়েছে। চরম আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর, মুন্সীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল বের হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার চেষ্টা করে। মঙ্গলবার ভানুগাছ বাজারে জামায়াত ইসলামীর উদ্যোগে আনন্দ মিছিল বের হয়।
মঙ্গলবার ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর মোরাল ভাঙ্গচুর করা হয়। এছাড়া কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়সহ কয়েকটি স্থানে সাবেক কৃষিমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়নের নামফলক ভাংচুর করা হয়। এছাড়া কমলগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে মোরাল ভাঙ্গচুর, উপজেলা চৌমুহনায় ময়না চত্বর, মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে, উপজেলা ছাত্রলীগ কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা ভবনে ভাঙ্গচুর করা হয়। মাধপুরের পারোয়াবিল এলাকায় বাবুল রজক এর মুরগীর খামার লুট করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা কমলগঞ্জ থানা ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতেও হামলার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাদের প্রতিহত করেন। এসব ঘটনায় কমলগঞ্জ থানা এবং শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে কোন পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। এদিকে মঙ্গলবার কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগানে এক চা নারী শ্রমিক এর লাশ পাওয়া গেছে। তবে লাশ উদ্ধারে পুলিশের কাউকে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন স্থানে উত্তেজিত জনতা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকে খোঁজার চেষ্টা করায় অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। থানায় কেউ নেই, তালা দেয়া রয়েছে।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান থানায় পুলিশ না থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেন।