বিশেষ প্রতিনিধি,
আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত সিলেটের আখালিয়া এলাকা -ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
ছাত্র আন্দোলনে শুক্রবার ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সিলেটের আখালিয়া এলাকা। শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আটক হয়েছেন আটজন। সংঘর্ষের সময় ১২ বছরের শিশু শফিক আলী স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে আখালিয়ার বড়গুল এলাকার বাসিন্দা। আহতবস্থায় তাকে সিলেটের আখালিয়াস্থ মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা ভালো আছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের মাউন্ড এডোরা হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. তানভির।
তিনি বলেন, শিশু শফিক আলী মারা যাওয়ার খবরটি গুজব। সে বর্তমানে সুস্থ আছে। তার মা বাবার সঙ্গে আলাপ করেছে সে। তার গুলি লাগেনি। তার শরীরে কয়েকটি স্প্লিন্টার লেগেছে।
এদিকে, বিকেল চারটা থেকে সিলেট মহানগরের আখালিয়া মাউন্ড এডোরা হাসপাতাল এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এ সময় সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেট ছোড়া হয়। এর আগে, পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে জুমার নামাজের পর সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার দিকে এাগোতে থাকে।
আন্দোলনকারীরা বিকেল ৪টার দিকে আখালিয়া মাউন্ড এডোরা হাসপাতাল এলাকায় এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল। পরে বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় এক শিশুকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৬টা) আন্দোলনকারী ও পুলিশ মুখোমুখি রয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং আটজনকে আটক করা হয়েছে।