রাসেল আহমদ:::
গোলাপগঞ্জে বিয়ের ১৮দিন পর তানজিনা ইসলাম (২২) নামের এক নববধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৯জুলাই) ভোর ৬ টার দিকে উপজেলার ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়নের দক্ষিণ কানিশাইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নববধূর স্বামী কাতার প্রবাসী হাবিবুর রহমানকে আটক করেছে।
নিহত নববধু তানজিনা ইসলাম শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। গত ২২ জুন সে হাবিবুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল।
জানা যায়, বুধবার ভোরে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কানিশাইল গ্রামে তানজিনা ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন বলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মুঠোফোনে জানায়।
এসময় পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত তানজিনা ইসলামের স্বামী হাবিবুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃত হাবিবুর রহমান দক্ষিণ কানিশাইল গ্রামের আলমাস আলীর ছেলে।
তানজিনার শ্বশুর বাড়ি লোকেরা আত্মহত্যা করেছে বললেও তার বাবার বাড়ির আত্মীয় স্বজন অভিযোগ করেন, তানজিনাকে পরিকল্পিত ভাবে তার স্বামী হাবিবুর রহমান হত্যা করেছে। এখন সে বাঁচতে আত্মহত্যার নাটক করছে।
তারা আরো জানান, তানজিনা ইসলামের লাশ পুলিশ ও তারা মেজেতে শুয়া অবস্থায় পেয়েছেন। এছাড়াও গলায়ও ফাঁস দেওয়ার তেমন চিহ্ন নেই। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তদন্ত করে মূল রহস্য উদঘাটনের আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুদুল আমিন জানান, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত তানজিনা ইসলামের স্বামী হাবিবুর রহমানকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়াও ময়নাতদন্তের জন্য তানজিনার লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।