দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর দুই তীরজুড়ে অবস্থিত লক্ষীপুর ইউনিয়ন । দোয়ারাবাজার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নের রাস্তা থাকলেও, লক্ষীপুর ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে সাধারণ মানুষ, পুরো ইউনিয়নের মধ্যে দৃশ্যমান কোন রাস্তা নেই। বর্তমান বন্যায় খাসিয়ামারা নদীর ভাঙনে যেত টুকু রাস্তা ছিল উপজেলা এবং জেলা শহরের সাথে যোগাযোগে বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তারই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে ।
লক্ষীপুর ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করে । নদীর বেড়িবাঁধের রাস্তায় ২০২৪ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কাজ করানো হয়নি বিধায় এবারের বন্যায় ভাঙ্গন দিয়েছে ৫/৬ টি। এখন ভোগান্তিতে লক্ষীপুর বাসী, স্কুল কলেজে যেতে পারে না ছাত্র ছাত্রী, অসুস্থ হলে রোগী নিয়ে যাওয়া যায় না উপজেলা এবং জেলা শহরের হাসপাতালে।
দীর্ঘদিন ধরে মেরামত বা সংস্কার না করায় রাস্তাঘাটে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। রাস্তা উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিদের দৃশ্যমান কোন উদ্যোগও নেই।
জানা যায়,লক্ষীপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ রাস্তাই ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। সবগুলো রাস্তা বছরের পর বছর না করায় বর্তমানে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাংলাবাজার থেকে রাবার ড্রাম হয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার মধ্যে আসার একমাত্র রাস্তাটি খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধের রাস্তা, এখন যেন পাহাড়ি ঢলে নিয়ে চলে গেছে। বাংলাবাজার থেকে হরিনাপাটি হয়ে যেতে হয় সুনামগঞ্জ জেলায় এই রাস্তাটি চলাফেরার জন্য চোখেই পড়ে না।
বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় ভাঙ্গন। শুকনো মৌসুমে তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। মটর সাইকেল ছাড়া অন্য কোন যানবাহন ব্যবহার করা যায় না, মটর সাইকেলেও উল্টে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা বীরাঙ্গনা কাকন বিবির মেয়ে সকিনা বেগম বলেন, ঐতিহ্যবাহী আমাদের এই লক্ষীপুর ইউনিয়ন দেখার মত কেউ নেই ভোট আসলে চলে আসে আমাদের কাছে।
ভোট চলে গেলে আমাদের দেখার কেউ থাকে না। আমরা ডেলিভারি রোগী নিয়েও যেতে পারি না হাসপালে, চলাচলের নাই কোন রাস্তা। মাঝে মাঝে মনে হয় যেন প্রাচীনকালে বসবাস করতেছি।
লক্ষীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সব সময় আমার এলাকাকে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সামগ্রিক উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নসহ অন্যান্য বড় ধরনের উন্নয়ন করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়।
এই উন্নয়নগুলো সরকার ও এম,পি’র সার্বিক সহযোগিতা নিয়েই করা সম্ভব। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ও এম,পি মহিবুর রহমান মানিক সাহেবের সহযোগিতা চেয়েছি। আশা করি নোয়াপাড়া, লক্ষীপুর,জিরারাগাঁও,চকিরঘাট, বক্তারপুর, মাঠগাঁও সহ যে সব যায়গায় পাহাড়ি ঢলে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ছে আশা করি চলাফেরার জন্য তিনি খুব দ্রুত কাজগুলি করিয়ে দিবেন।