মতিউর রহমান (দুলাল), গোয়াইনঘাট সিলেট:
গোয়াইনঘাট সালুটিকরের রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে জনমনে অনিহা তৈরি করে ফেলছে। ভাঙা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। বেহাল সড়ক দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। চরম ভোগান্তি আর ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন এ এলাকার চালক ও যাত্রীরা।
খানাখন্দে ভরপুর এ সড়কটি যাত্রী ও চালকদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে পড়েছে। বর্ষা কাল শুরু হতেই সালুটিকর থেকে বঙ্গবীর এলাকা পর্যন্ত ধাপে ধাপে রয়েছে ছোট বড় গর্ত। ভাঙ্গা এসব সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীগন ও যানবাহন। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা সহ শতশত যানবাহন যাতায়াত করে। বিশেষ করে জনদুর্ভোগের অপর নাম সাকের পেকের খাল ভাঙ্গা। যেখানে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়ে বিগত তিন চার বছর ধরে মানুষকে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। এবছর তিন দফা বন্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষজন পারাপারে একমাত্র ব্যবস্থা ছিল স্থানীয়দের উদ্যোগে খেয়া নৌকা।
বন্যার পানি কমলেও ভোগান্তি কমছে না। যানবাহন পারাপারে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ছাত্রীরা। গর্তে গাড়ীর চাকা পড়া মাত্রই ডানে বামে দোল খাচ্ছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ যাত্রী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় ভূক্তভোগীরা জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাঝে মধ্যে সড়কের মাঝে গর্তগুলো সংস্কার করা হলেও সামান্য বৃষ্টির পানিতে ও প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলাফেরা করায় অস্থায়ী সংস্কারের কাজ আর স্থায়ী হচ্ছে না, ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ছোট-বড় অনেক যানবাহন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বঙ্গবীর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এমন ভাঙাচুরা রাস্তা দিয়ে একবার গেলে দ্বিতীয়বার যেতে ইচ্ছে হয় না।এ সড়কগুলোর দ্রুত সংস্কার করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীর নিরাপদে স্কুল কলেজে যাওয়া- আসা করতে পারে।প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন।
ছাত্রনেতা ফয়জুল হাসান বলেন, রাস্তার যে অবস্থা, কি বলবো! চলাচলের জন্য পুরোটাই অনুপযোগী। দ্রুত যাতে রাস্তাটি সংস্কার কাজ হয়, সেই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা উচিত।তিনি জানান,এই ভাঙ্গনের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সিএনজি চালকরা গিয়ে গ্যাস আনতে পারছে না। হাদারপার বাজার স্ট্যান্ডে গাড়ি নাই,শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে আছে গাড়ির অপেক্ষায়।অনেক শিক্ষার্থী আবার টমটম গাড়ি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।এদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সিএনজি চালকরা গিয়ে গ্যাস আনতে পারছে না।