সাজ্জাদ মাহমুদ মনির,(সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি):::
ছাতক উপজেলা সদর থেকে ছাতক সদর ইউনিয়ন ভুমি অফিস স্থানান্তর করা হয়েছে। গত ৬ আগষ্ট ছাতক পৌরসভাসহ নোয়ারাই ও ইসলামপুর ইউনিয়নের সকল মৌজার রেকর্ড-পত্র সহ সদর ইউনিয়নের আন্ধারীগাঁও গ্রামে ভুমি অফিস স্থানান্তর করা হয়।
এ নিয়ে পৌরসভা এবং ২ টি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভার বাসিন্দারা এখন ৫ কিলোমিটার দুরের আন্ধারীগাঁও গ্রামে যেতে হচ্ছে ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ বা জমি সংক্রান্ত অন্যান্য কাজে। ১৮-১৯ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও এলাকার বাসিন্দারাও যেতে হচ্ছে আন্ধারীগাঁও’র কার্যালয়ে।
কাজেই ভুমি সংক্রান্ত কাজে পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দা সহ দুই ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। উপজেলা সদরের কার্যালয় টি ছিলো সকলের সুবিধা জনক স্থানে।এখান থেকে ভুমি অফিস স্থানান্তর হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পৌরসভা এবং নোয়ারাই ও ইসলামপুর ইউনিয়নের মানুষ।
ছাতক শহরের সাবেক কার্যালয়ে রেকর্ড পত্র স্থানান্তর করতে পৌরসভা সহ নোয়ারাই,ইসলামপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দাবি।ভুমি সেবার জন্য তাদের সুযোগ সুবিধা এখানেই বেশি রয়েছে। এবং সরকারের রাজস্ব আদায় ও বেশি হবে।
২ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাসিন্দাদের স্বার্থে শহরের সাবেক অফিসে ইউনিয়ন ভুমি অফিস পৃথকিকরণের দাবি জানিয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন জনপ্রতিনিধি সহ পৌর সভার নাগরিকবৃন্দ।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরের জামান চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ ইসলাম উদ্দিনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে এ আবেদন
টি দেয়া হয়েছে।
রবিবার ২০ আগষ্ট সকালে পৌরবাসীর পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবরে আবেদন জমা দিয়েছেন ছাতক পৌর সভার কাউন্সিলর,প্যানেল মেয়র-২ জসিম উদ্দিন সুমেন,প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ হারুন অর রশিদ,অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী তপন তরফদার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, অর্থ সম্পাদক বিজয় রায় প্রমুখ।।