স্টাফ রিপোর্টার,
সিলেটের ওসমানীনগরে কুশিয়ারা তীরবর্তী খসরুপুর গ্রামের জোবেদা বেগম। তিন দফা বন্যায় সব ভেসে গেছে তাঁর। জীর্ণ টিনের ঘর কখন ভেঙে যায় এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই জোবেদার।
শুধু জোবেদা নন, গত একমাস থেকে চলা বন্যায় নষ্ট হয়েছে সিলেটের অন্তত দেড় লাখ কাঁচা ঘরবাড়ি। বানভাসিদের অভিযোগ, অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটলেও সহযোগিতা পাচ্ছেন নামমাত্র।
পুরো সিলেট-সুনামগঞ্জ জুড়েই বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ভয়াবহতার চিত্র। খাবার ও ত্রাণ সংকটের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত নিয়েও দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। বেশিরভাগ এলাকায় এখনও পানি থাকায় নিরূপণ করা যাচ্ছে না বন্যার ক্ষয়ক্ষতিও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন তাঁরা। তবে পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন না।
এক মাসের মধ্যে তিন দফা বন্যায় লন্ডভন্ড সিলেটের ১৩ উপজেলা। দুর্গতদের সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনের আশ্বাস স্থানীয় সংসদ সদস্যের।
সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট জেলা পুনর্বাসন উন্নয়ন প্রকল্প এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো হয়েছে। কাজ চলছে।’
এদিকে, বন্যায় পুরো সুনামগঞ্জ জেলায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রত্যন্ত অনেক এলাকায় সড়কে পায়ে হাঁটাও কঠিন হয়ে পড়েছে। অসুস্থ, বৃদ্ধ ও শিশুদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দুই বছর আগে ভয়াবহ বন্যার ক্ষতই এখনও রয়েছে বেশিরভাগ সড়কে। এর মধ্যেই এবারের ৩ দফা বন্যায় পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ঠিক করতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানান এলজিইডি কর্মকর্তারা। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ফ্লাড ২০২২ নামে একটা প্রজেক্ট আছে। সেটার অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।’
বিভিন্ন এলাকায় এখনও পানি থাকায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যায়নি। তবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তার আশ্বাস স্থানীয় প্রশাসনের।