হবিগঞ্জে গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিশেহারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে শনিবার নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ রোববার সকাল ১১টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে শনিবার বিকেলে জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিকেল ৫টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিকে গউছের নেতৃত্বে একটি মিছিল শহরের প্রধান সড়কে পৌঁছামাত্র পুলিশ বাধা দেয়। এনিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।
বিএনপির নেতা-কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একসময় উভয় পক্ষ মারমুখী হয়ে উঠে। পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছুঁড়ে। দুইঘন্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ।
হবিগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, সংঘর্ষে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
এদিকে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিকে গউছের দাবি, তাদের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং এর মধ্যে দেড় শতাধিক গুলিবিদ্ধ। এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা আশঙ্কায় শঙ্কিত সবাই।