নিজস্ব প্রতিবেদক,
এক বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই সিলেটে আবার প্রবল বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোববার রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদ-নদীর পাশাপাশি নিম্মাচলে পানি বাড়ছে।
আজ সোমবার সকালে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় সিলেটে। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় হয় ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেটে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক না হলেও অনেক উপজেলা থেকে পানি নেমে গেছে। নদনদীর ১০ পয়েন্টের মধ্যে কেবল কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট ছাড়া অন্যগুলোতে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়।
আজ সকাল থেকে সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টেও পানি আবার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। সকাল ৬টায় ৮ সেন্টিমিটার ও ৯টায় ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া সুরমা সিলেট পয়েন্টে, কুশিয়ারার অমলশীদ, শেওলা ও শেরপুর এবং লোভা, সারি, ডাউকি ও গোয়াইনসারি নদীর পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আজ আরও কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে পানি বাড়ছে। দুই জেলার নদী ছাড়াও আবার পানি বাড়ছে গ্রামীণ এলাকায়। আজ সকালে অনেক গ্রামীণ রাস্তা আবার তলিয়ে গেছে। পানি উঠছে বাড়ি-ঘরে।
সকালে সিলেটের নদী তীরবতী কোম্পানীগঞ্জের শিমুলতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুর রউফ জানান, সীমান্তবর্তী পিয়াইন, ধলাই ও চেলা নদীর পানি বাড়ছে। আবার তাদের আশ্রয়ন প্রকল্পে পানি উঠেছে। আরেকটু বাড়লে ঘরে পানি প্রবেশ করবে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে আবার পানি বাড়ায় বন্যার মুখে পড়েছেন এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। গত ২৭ মে প্রথম দফা বন্যা দেখা দেয় সিলেটে। পরে আবার ১৭ জুন ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েন সিলেটবাসী। দ্বিতীয় দফা বন্যায় সিলেট জেলায় প্রায় ১১ লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েন। এখনও ফেঞ্চুগঞ্জ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন।
অন্য উপজেলাগুলোতে পানি কমলে স্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়ে উঠেনি। ক্ষতিগ্রহস্থ মানুষ যখন ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন ঠিক তখনই আবার বন্যা দেখা দিচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন, সিলেটে আগামি বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আজ সকাল ৬টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।