গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:::
ফোনে আলাপের মাধ্যমে পরিচয়ের পর প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহের নাম করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই সিজান নামের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত যুবক হলেন জামালপুর জেলার সদর থানার চরগজারিয়া গ্রামের তরফ আলীর ছেলে সিজানুর রহমান (৩০)।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়,মামলার বাদী গোলাপগঞ্জের কালীজুড়ি গ্রামের লেইছ মিয়ার মেয়ে ভিকটিম কলী বেগম সৌদি আরব প্রাবসী। প্রবাসে থাকাকালীন বাদীর মেয়ের সাথে বিবাদী সিজানের ফোন আলাপ হয়। বিবাদী এক পর্যায় ভিকটিমকে বিবাহের প্রস্তাব করিলে ভিকটিমের পরিবারসহ সবাই রাজি হন।পরবর্তীতে বাদীর বাড়িতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিম কলী বেগমের সাথে স্থানীয় একজন হুজুরের মাধ্যমে বিবাদী সিজান রহমানের বিবাহ হয়।বিবাহের শর্ত থাকে যে,ভিকটিম দেশে আসার পরপরই বিবাদী তাদের বিবাহের কাবিননামা রেজিস্ট্রার করবেন। পরে ভিকটিমের সাথে বিবাদীর মোবাইল ফোনে নিয়মিত ভিডিও ও অডিও কলে যোগাযোগ হয়।মোবাইল ফোনে কথা বলার এক পর্যায় বিবাদী সিজান ভিকটিম কলি বেগমকে স্বামীর অধিকার দাবি করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ছবি ও ভিডিও দেখতে চাইলে ভিকটিম সরল মনে তাতে রাজি হন।বিবাদী কৌশলে সেই অশ্লীল ও নগ্ন ছবি-ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করে রাখেন।পরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী,২০২৪ইং বিবাদী সিজান রহমান ভিকটিম কলি বেগমকে সেই অশ্লীল ছবি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি প্রদর্শন করে ১ (এক) লক্ষ টাকা হাতি নেয়।এরপর গত ২২মে,২০২৪ইং বিবাদী সিজান রহমান পুনরায় ভিকটিমকে সেই অশ্লীল ছবি ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি প্রদর্শন করে ৬ (ছয়) লক্ষ টাকা দাবি করে। তারপর ভিকটিম ও পরিবার বিবাদীর দাবিকৃত ৬ (ছয়) লক্ষ টাকা না দিতে পারায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের সেই অশ্লীল ও নগ্ন ছবি-ভিডিও ভাইরাল করে দেয়।
পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে মামলার বাদী লেইছ মিয়া সিলেট আমল গ্রহণকারী ২নং আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত গোলাপগঞ্জ গোলাপগঞ্জ মডেল থানাকে মামলা এফআইআরের নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮ (১),(২),(৩),(৪) মামলা রেকর্ড হয়,(মামলা নং-১০০/২০২৪)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিজান রহমানের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা এয়ারপোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।