জেলা প্রতিনিধি,(মৌলভীবাজার):::
উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওর পাড়ের উপজেলা জুড়ীতে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টি হলে আবার বন্যার পানি বৃদ্ধির সংঙ্কায় রয়েছেন বানবাসী মানুষ। বন্যার পানি ধীরগতিতে কমলেও কমছেনা বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ। বাড়ি-ঘর, গ্রামীন রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে রয়েছে। তবে হাকালুকি হাওর পারের গ্রাম গুলোতে এখনো পানি রয়েছে। বানভাসির মধ্যে কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে অথবা উঁচু স্থানে, আবার অনেকেই নিজের গবাদি পশু নিয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করছেন। এখন ওই সব এলাকার বানভাসি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সে.মি. থেকে কমে এখন বিপদসীমার ১৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পবিত্র ঈদুল আযহার দিন ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে অর্ধলক্ষাদিকের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৬৫ থেকে ৭০ টি গ্রাম প্লাবিতো হয়েছে। অনেকেই গিয়ে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রে বানবাসীরা শুকনো খাবার ছাড়া কিছুই পাননি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা রয়েছে।
জুড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওর পাড়ের উপজেলা জুড়ীতে বন্যার পানি কমেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জুড়ীতে ১১০ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৩৭৩ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যার্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সে.মি. থেকে কমে এখন পর্যন্ত বিপদসীমার ১৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।