বিশেষ প্রতিনিধি,
বৃষ্টি বন্ধ হয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পাঁচ দিন পর সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো দিয়েছে প্রশাসন। তবে এসব পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৩ জুন) দুপুরে জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো এবং বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয় প্রশাসন।
রবিবার দুপুর ২টা থেকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছানাকান্দি, জলাবন রাতারগুল, পান্থুমাই এবং কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর, উৎমার মত দেশের প্রসিদ্ধ পর্যটনকেন্দ্রগুলো ফের চালু করা হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সব বোট মালিক, নৌ-চালক ও যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনাহ সাঁতার জানা নেই এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল না করতে বলা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য বলা হয়েছে।
পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক, ট্যুর অপারেটর ও নৌকার মাঝি সবাইকে উপর্যুক্ত নির্দেশনা প্রতি পালন নিশ্চিত করার শর্তে এসব পর্যটন স্পট চালু করা হয়।
এর আগে গত শনি ও রবিবার দুই দফায় জাফলং পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেন গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি একটি টিম। এছাড়া গোয়াইনঘাট থানা, ট্যুরিস্ট পুলিশ টিম এবং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামও পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উপজেলার সবকটি পর্যটনকেন্দ্রে কয়েক দফা পরিদর্শন শেষে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কিছু নির্দেশনা ও শর্তসাপেক্ষে রবিবার থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
শর্তসাপেক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ।