বিশেষ প্রতিনিধি,
দেশব্যাপী রাজত্ব গেড়ে বসতে শুরু করেছে এক সময়ের বিলুপ্ত বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। রাজশাহী এবং এর আশে পাশে ছাড়াও সাপটির খোঁজ মিলছে বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর এমনকি ঢাকার আশপাশেও। দেশের ২৭টি জেলায় অস্তিত্ব মেলায় ইতোমধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহে সাপের কামড়ে ১২ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২২ জুন) সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, রাসেল ভাইপারের খবর নিমিষেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় বন্যার্ত এলাকাগুলোতে আতঙ্কে জেঁকে বসেছে। পানিবন্দি অবস্থায় এই আতঙ্ক তাদের কাছে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ ছিল। এই তিন উপজেলাতে সাপের উপদ্রব বেশি। তবে রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন এসব উপজেলাতে এমন রোগীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত ১৫ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ১২ জন রোগী বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জন রোগীই বিষহীন সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘সিলেটে এখন পর্যন্ত এই বন্যা পরিস্থিতিতে ১২ জন রোগী আমাদের এখানে এসেছেন। ১১ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপর একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়, তিনি আইসিউতে রয়েছেন। সাপ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাপে কামড় দিলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ‘ওসমানী মেডিকেলসহ সিলেটের সবকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাপে কামড় রোগীর চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সাপে কামড় দেওয়া রোগীকে দেশীয় কোনো চিকিৎসা দিতে গিয়ে বিলম্বিত না করে, সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসুন।’