জালাল উদ্দিন লস্কর,(হবিগঞ্জ প্রতিনিধি):::
মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের সাহেবনগরে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে হেনস্তা ও যৌণ হয়রানীর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, সাহেবনগর গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে ওই স্কুলছাত্রী সাবিনা আক্তার চৌমুহনী খুর্শিদ হাইস্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য আসামী মিজান মিয়ার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সুবাদে মিজান প্রায় সময়ই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া সহ নানা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে উত্যক্ত করতো।মিজানের পিতার নাম আক্কাস আলী।মিজান বিবাহিত।তার দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু রয়েছে।
বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বড়বোন সালমা আক্তার লিজা সহ পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা মিজানের পরিবারকে ঘটনা অবহিত করে এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন।
এতে মিজান ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগের সন্ধানে থাকে।ঘটনার দিন (২০ জুলাই) বিকালে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা মিজান সাবিনার পথরোধ করে টানাহেঁচড়া শুরু করে এবং পালিয়ে গিয়ে মিজানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চাপাচাপি শুরু করে।সাবিনার শোর চিৎকারে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মিজানের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান।এ সময় মিজানের ভাই মাসুদ মিয়া লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে ভাইয়ের পক্ষ হয়ে সাবিনার স্বজনদের মারধর করে।
স্থাণীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে সালমা আক্তার লিজা বাদি হয়ে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেন।পিবিআই হবিগঞ্জের ইনস্পেকটর মুক্তাদির হোসেনের সাথে মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘আমি এখন অফিসের বাইরে আছি।মামলার নম্বর ও আইও’র নাম জানালে খোঁজ নিয়ে দেখবো।’