নিজস্ব প্রতিবেদক:::
ঢাকা-মানিকগঞ্জ-ঘিওর সড়কের ঘিওর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সামনের পাকা সড়কের মাঝখানে এক যুগের বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছে সংযোগ সড়কবিহীন প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার একটি সেতু।
সেতুটি নির্মাণে সরকারের গচ্ছা গেছে ৫৫ লাখ টাকা। এখন সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণাসহ অপসারণের কথা ভাবছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি কোনো উপকারে না এলেও প্রায়ই জানমালে ক্ষতি হচ্ছে। কারণ তিন রাস্তার মোড়ে সেতুটি থাকায় একপাশ থেকে অন্যপাশের যানবাহন দেখা যায় না। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবি, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সেই সুউচ্চতার দুপাশের সেতুটি এক যুগেও আলোর মুখ দেখেনি। আর মানুষ কিংবা যানবাহন ওঠারও সুযোগ হয়নি।
স্থানীয়রা এটিকে আজব সেতু অভিহিত করে বলছেন, অপরিকল্পিত প্রকল্পে সরকারের টাকা অপচয় করা হয়েছে মাত্র।
এ ছাড়া ওই পথে চলাচলরত গাড়িচালক, যাত্রী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই সেতুটি একদিনের জন্যও কোনো কাজে আসেনি। সরকারের অর্থের অপচয় হয়েছে মাত্র!
এদিকে সেতু নির্মাণের এক যুগ পর মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সুউচ্চ উড়াল সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণাসহ অপসারণের কথা ভাবছে।
অকার্যকর এই সেতু নির্মাণ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউস-উল-হাসান মারুফ জানান, সরকার যখন কোনো প্রকল্প হাতে নেয়, তা অবশ্যই জনগণের কল্যাণের জন্য। অনেক সময় স্থানীয় নানা সমস্যার কারণে তার সুফল পাওয়া যায় না। ধলেশ্বরী নদীর ওপর স্থাপিত বেইলি ব্রিজের অ্যাপ্রোচের সঙ্গে বিদ্যমান আঁকাবাঁকা সড়কটিকে সোজাকরণের জন্য ওই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রকল্প অনুযায়ী ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আন্ডারপাসটি (উচ্চ উড়াল সেতু) নির্মাণ করা হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় নতুন সড়ক পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এ কারণে প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। একই সঙ্গে উচ্চ সেতুর পাশের বেইলি ব্রিজটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে।