বিশেষ প্রতিনিধি,
টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কালনী-কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। প্রতিনিয়ত প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এমতাবস্থায় হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে জেলার নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় এতে ২৫টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কুশিয়ারার পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, মার্কুলি পয়েন্টে ৩০ এবং আজমিরীগঞ্জে ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরই মধ্যে বন্যা কবলিতরা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা জানান, বন্যা মোবাবিলায় জেলার ৯টি উপজেলার ৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৪২০ মেট্রিক টন চাল, ৭৮ বান্ডিল টিন ও ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, খোয়াই নদীর পানি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারার পানি।
অপরদিকে, মৌলভীবাজার সদরসহ সাত উপজেলায় গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হঠাৎ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা হয়েছে। একইসঙ্গে ধলাই নদীর তিনটি পুরোনো ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।