স্টাফ রিপোর্টার,
সারাদেশের মানুষ যখন ঈদের আনন্দে মেতেছে, তখন সুনামগঞ্জবাসী বন্যাকবলিত। ভারতের চেরাপুঞ্জি ও সুনামগঞ্জে অস্বাভাবিক অব্যাহত বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি আসছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদী দিয়ে। ফলে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি প্রবেশ করছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায়। প্লাবিত হতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চল।
এছাড়াও জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর ও তাহিরপুর উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। জেলার অন্তত শতাধিক অভ্যন্তরীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বৃষ্টিপাত আরো ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে এবং নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ঢলের পানিতে বসতভিটার সঙ্গে সঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঘরে থাকা খাবার ও বস্ত্র।
একই এলাকার বাসিন্দা মোতাহার হোসেন বলেন, যেখানে বসতভিটাই ধসে গেছে সেখানে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে আছে আমাদের। আমরা এখন খাদ্য সংকটে আছি।
পাহাড়ি ঢলের পানি বসতভিটার সামনে আসায় ঈদের আনন্দ নেই বলে জানালেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা নদী তীরের বাসিন্দারা।
সদর উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা রেনু মিয়া বলেন, আজকে একটা ঈদের দিন। আমাদের মনে বন্যার আতঙ্কই শেষ হচ্ছে না ঈদের আনন্দ কখন করব।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, পানি একবার কমলেও বৃষ্টির কারণে আবার বেড়েছে। পানি আরো বৃদ্ধি পাবে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে।