শাহ সুমন বানিয়াচং:
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের একমাত্র গরুর হাট হিসাবে পরিচিত পাচ-ছয় (৫/৬) নং বাজার গরুর হাট।
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, এরই মধ্যে জমতে শুরু করেছে পশুর হাট। পশু বিক্রেতারা হাটে পর্যাপ্ত গরু নিয়ে এলেও ক্রেতা উপস্থিতি কম।
বানিয়াচংয়ে গরু ও ছাগলের হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটের ভিতরে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতই বেশি, ক্রেতাশূণ্য হাটে বিক্রেতারা যেনো অনেকটাই অলস সময় কাটাচ্ছেন।
হাটে গরু মোটামুটি আছে কিন্তু ছাগল ও কোরবানী যুগ্য অন্য কোনো পশু একেবারে নেই বললেই চলে। হাটে ভিড় বাড়েলেও কেনা-বেচা খুবই কম। গেল বছরগুলোতে কোরবানীর ঈদের এক সপ্তাহ আগে যেখানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। তবে অনেক ব্যাপারি ও ক্রেতা মনে করছেন, মূলত ঈদের তিন দিন আগে হাটগুলো পুরোপুরি জমে উঠবে। এখন ক্রেতারা হাটে হাটে ঘুরেফিরে গরু-ছাগলের দাম দেখছেন। এবছর বড় গরুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি।
হাট ইজারাদার কমিটির সদস্য, মোঃ রাসেল মিয়া বলেন, এখন বেচা-কেনা কম হচ্ছে। অনেকেই গরু কিনতেছে না কারন, ঈদের আরো কয়েক দিন বাকি আছে, এত আগে কিনলে গরু রাখার মত অনেকের জায়গা নেই, তাই হয়তো ঈদের দু-এক দিন আগে হাট জমবে এবং কেনা-বেচা হবে, তবে এবছর যেমন প্রচুর গরু আছে তেমনি চাহিদাও আছে, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি বিক্রেতারা যেনো তাদের পালনকৃত গরু ছাগল ঠিকমত বিক্রি করতে পারেন।
সাংবাদিক মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, কোরবানীর পশুর যে চাহিদা, সে অনুপাতে গরু আছে ঠিকই কিন্তু খামারিরা এখনো বাজারে নেন নি, আশা করা যায় খামারিরা বিক্রির জন্য আগামী শুক্রবার থেকে গরু-ছাগল বাজারে তুলবেন।