Friday, November 8, 2024
Homeখেলাধুলাক্রিকেটতীরে এসে তরি ডোবাল বাংলাদেশ

তীরে এসে তরি ডোবাল বাংলাদেশ

 

স্পোর্টস ডেস্ক,

 

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বড় ভরসা কে? নির্দ্বিধায় সবার মুখে নিশ্চয়ই তাওহীদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নাম–ই আসার কথা। সে দুজন আজও (সোমবার) টাইগারদের বড় সময় ধরে পথ দেখিয়েছেন। হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ’র ৪৪ রানের দুর্দান্ত জুটিতে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ও প্রায় ধরা দিচ্ছিল। কিন্তু না, একেবারে তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের কাছে হেরে গেছে ৪ রানে।

 

 

দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১১৩ রান ছোট পুঁজি হলেও, নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে রানতাড়া করা কতটা কঠিন হতে পারে সেটি আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। কিন্তু টাইগারদের আক্ষেপ ঝরবে হয়তো হৃদয়ের আউটে, কাগিসো রাবাদা জোরালো আবেদন না করলেও আম্পায়ার আউট দিয়েছেন অনায়াসে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় একেবারে লেগ-স্টাম্পের বেল বরাবর আঘাত করতো সেটি। আম্পায়ার্স কলের আক্ষেপে পুড়লেন হৃদয়, সেখানেই হয়তো শেষ হয়ে যায় টাইগারদের জয়ের স্বপ্ন!

 

ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটাই যেন আরেকবার মঞ্চস্থ হলো নাসাউতে। যদিও গতকাল আম্পায়ারিং নিয়ে ভুগতে হয়নি বাবর আজমদের। ১৬.২ ওভারে হৃদয় আউট হওয়ার আগের ওভারেই মাহমুদউল্লাহকে প্রায় একইভাবে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার স্যাম নগাজস্কি। পরে রিভিউ নিয়ে দেখা যায় বলটি লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে। এরপর অবশ্য শেষ ওভার পর্যন্ত রিয়াদ ক্রিজে থাকলেও, ছয় মারার চেষ্টায় বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়েছেন। এতে অবশ্য এইডেন মার্করামেরই অবদান ছিল বেশি, কেশভ মহারাজের ফুলটস বলে নিশ্চিত ছয়ের জন্য হাঁকিয়েছিলেন রিয়াদ। ওই ওভারে ১১ রান দরকার ছিল, বাংলাদেশ নিতে পারে কেবল ৬ রান।

 

 

বাংলাদেশের ভাগ্যটা অবশ্য নির্ধারণ হয়ে যায় ১৮তম ওভারে, রাবাদার করা ওভারটিতে মাত্র ২ রান আসে। প্রথম বলে উইকেটের পর তিনি টানা তিনটি ডট দেন। নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলি কেবল পঞ্চম বলে কেবল একটি সিঙ্গেল রান নিতে পারেন, ফলে শেষ দুই ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৮ রানের। ওটনিয়েল বার্টমেনের পর মহারাজ দারুণ বোলিংয়ে ছিনিয়ে নিলেন টাইগারদের জয়। যা টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানতাড়ায় ব্যর্থ ইনিংসের মধ্যে যৌথভাবে তৃতীয়। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড সমান ১১৪ রানতাড়া করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।

 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ ম্যাচে এর চেয়ে কম রান করে জেতার নজির নেই আর কারও। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ১১৯ রান করে নিউজিল্যান্ডকে শ্রীলঙ্কা ও চলতি আসরেই ১১৯ রান করে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৩৭ রান (৩৪ বল) করেছেন ‍হৃদয়। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ২০ এবং অধিনায়ক শান্ত ১৪ রান করেন।

 

 

প্রোটিয়াদের রানতাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটাও অবশ্য ভালো ছিল না। টাইগারদের চাপ বাড়িয়ে দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন তানজিদ তামিম (৯)। এরপর দলীয় ২৯ রানে ফেরেন লিটন দাসও (৯)। সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান (৩), নাজমুল হোসেন শান্তরাও। পরে তাওহীদ হৃদয়ের ৩৭ এবং শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২০ রানে ভর করে জয়ের পথেই ছিল টাইগাররা। তবে শেষ ওভারে তারা ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি। থেমে গেছে ১০৯ রানে।

 

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মহারাজ সর্বোচ্চ ৩টি, রাবাদা ও এনরিখ নরকিয়া ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন।

 

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আফ্রিকানদের এই সংস্করণে সর্বনিম্ন পুঁজিতে আটকে দেন টাইগার বোলাররা। বাংলাদেশের হয়ে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব। এ ছাড়া তাসকিন ১৯ রানে ২টি এবং ৩৩ রানে ১ উইকেট নেন তাসকিন। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন হেইনরিখ ক্লাসেন, এ ছাড়া ডেভিড মিলার ২৯ এবং কুইন্টন ডি কক ১৮ রান করেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments