Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the td-cloud-library domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/sylheterkagoj/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পানিতে নিমজ্জিত সেতু, দু র্ভোগ - Sylheter Kagoj : সিলেটের কাগজ |
Monday, April 21, 2025
Homeসিলেট বিভাগসুনামগঞ্জসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পানিতে নিমজ্জিত সেতু, দু র্ভোগ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পানিতে নিমজ্জিত সেতু, দু র্ভোগ

বিশেষ প্রতিনিধি,

 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কয়েকদিনের বৃষ্টি ও ঢলে নদ—নদীর পানি বেড়েছে। গত রোববার উপজেলা সদরের নজলুর নদীর বিকল্প সেতুতে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ। গেল বছরও আষাঢের ঢলে সেতুটি পানিতে তলিয়ে গিয়ে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

 

 

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতার কারণে ভারি বৃষ্টিপাত হলে পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি ছিল, সেতুটি উঁচু করে নিমার্ণের জন্য কিন্তু সংশ্লিষ্টরা নিচু করেই কাজ করায় ভারি বৃষ্টিতেই নিমজ্জিত হয়। এছাড়াও সেতুটির সংযোগ সড়কেও পানিতে তলিয়ে গেছে।

 

 

এদিকে নজলুর নদীর অপর ঝুঁকিপূর্ণ ডাক বাংলো সেতু দিয়ে দুই পারে যান চলাচল করছে হচ্ছে। এতে করে দীর্ঘ যানজট লেগে সীমাহীন জনদুর্ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সেতুটি পড়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে।

 

 

নলজুরের এই দুই সেতু দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের লোকজনসহ পাশবর্তী উপজেলার বিভিন্ন স্থানের জনসাধারণ কে উপজেলা সদরে জরুরি নানা কাজে আসতে হয়।

 

 

এলাকাবাসী ও এলজিইডি সূত্র জানায়, ১৯৮৭ সালে নলজুর নদীর ওপর ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খাদ্য গুদামের সামনে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি টেকসই থাকলেও একসঙ্গে বড় দুইটি যান চলাচল করতে না পারায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির মাধ্যমে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরাতন এ সেতু ভেঙে নতুন দৃষ্টি নন্দন আর্চ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মান্নান ২০২৩ সালের মার্চে সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করার পর নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ওই সময় বিকল্প হিসেবে হেলিপ্যাড এলাকায় একটি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়।

 

 

এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বিকল্প সেতুটি তৈরির সময় এলাকার লোকজন বর্ষায় এটা ডুবে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আরও উঁচু করার দাবি জানিয়েছিলেন, তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি বিষয়টি আমলে নেয় নি।

 

 

অপরদিকে ১৯৮৮ সালে নলজুর নদের ওপর ডাকবাংলো সেতুটি এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেতুর কাজ শেষ হয়। সেই থেকে সরু এ সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করে। ২০২১ সালে নলজুর নদ খনন কালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতুর দুটি অংশ দেবে যায়। এক বছর যান চলাচল বন্ধ থাকার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জগন্নাথপুর পৌরসভা সেতুর দেবে যাওয়া অংশে স্টিলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করে।

 

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প বেইলি সেতুতে পানি উঠে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য পদক্ষেপ নেব আমরা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments