বিশেষ প্রতিনিধি,
সিলেটে বিশাল বিশাল চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত আড়ালের চোরাচালান সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে চলছে নানা কানাঘুষা। ঠিক এমন সময়ে নিলামের বৈধ চিনির চালান লুট হওয়ার পর বেরিয়ে আসছে থলের বেড়াল।
অস্ত্রের মুখে দিনদুপুরে ২৪ লাখ টাকার চিনি লুটে নেওয়ার পর তোলপাড় চলছে। ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে ছিনতাই চক্রের মুখোশ। ১৪ ট্রাক চোরাই চিনির চালান ও ২৪ লাখ টাকার চিনি ছিনতাই একই সুতোয় গাঁথা। ঘুরেফিরে গুঞ্জন ছাত্রলীগকে নিয়ে।
শনিবার দুপুরে সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের চারখাই পুলিশ ক্যাম্পের পাশ থেকেই নিলামে কেনা ২৪ লাখ টাকার চিনির চালান অস্ত্রের মুখে লুট হয়। চিনির চালানের মালিক আমিন ট্রেডার্সের মালিক বদরুল ইসলাম।
তিনি সিলেটের কাগজ কে বলেন, চিনির চালান লুটের পর গাড়ি উদ্ধার হয়েছে তবে চিনি উদ্ধার হয়েছে মাত্র ২ বস্তা। বাকি চিনির কোনো হদিস নেই।
তিনি দাবি করেন, কারা লুট করেছে, ছিনতাই চক্র কোন গাড়ি ব্যবহার করেছিল, কার বাসায় মালামালসহ গাড়ি নেওয়া হয়েছিল সব তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। এমনকি সিসিটিভির ফুটেজ ও আছে। ছিনতাই চক্র ও চিহ্নিত।
তিনি রোববার বলেন, মামলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, পুলিশ কোনো সমস্যা না করলে আসামিদের নাম উল্লেখসহ মামলা হবে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি দেবদুলাল বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ট্রাক ও কিছু মালামাল উদ্ধার হয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের অপেক্ষায় আছি। অভিযোগ পেলে মামলা হবে।
জানা গেছে, চারখাই বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বদরুল ইসলামের। তিনি নিলামে ১ হাজার ৪৭৭ বস্তা ক্রয় করেন। শনিবার দুপুরে ওই চিনি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫-১৬ জনের ছিনতাইকারী চক্র একটি প্রাইভেটকার, ৪টি মোটরসাইকেল এবং একটি পিকআপ নিয়ে চিনি বোঝাই ট্রাকের গতিরোধ করে।
এ সময় তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ট্রাক চালককে জিম্মি করে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে নিয়ে এসে পৃথক দুটি গ্রামে চিনি ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। চিনি লুটের ঘটনায় পৌর ও উপজেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ তিন নেতা নেতৃত্ব দেন বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ী বদরুল ইসলাম। তবে মামলা দায়েরের আগে তিনি তাদের নাম প্রকাশ করেননি।
ব্যবসায়ী বদরুল ইসলাম বলেন, মামলায় সবকিছু স্পষ্ট থাকবে।
রোববার বিয়ানীবাজার থানার এসআই শাহজাদা ফয়সল বলেন, চিনি উদ্ধারে অভিযান চলছে। খাসাড়িপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকেও দুই বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়েছে।