Friday, November 8, 2024
Homeঅপরাধগুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য মনিরুল নিহত

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য মনিরুল নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক:::

রাজধানীর গুলশানে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে মনিরুল নামে পুলিশেরই এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় জাপান দূতাবাসের একজন ড্রাইভার ও এক পথচারী আহত হন বলে জানা গেছে।

শনিবার (৮ জুন) রাত ১২ টার দিকে বারিধারা দূতাবাস রোডে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কনস্টেবল মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গতরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাস লাগোয়া উত্তর পাশের গার্ড রুমে তার ডিউটি ছিল। একই সময়ে ডিউটিরত আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ গুলি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে কনস্টেবল কাউসার আহমেদকে আটক করা হয়েছে।

ওই কনস্টেবলের এলোপাতাড়ি গুলিতে আতঙ্ক ছড়ায়। গুলির খবরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও শুরুর দিকে আতঙ্কে কেউ সামনে যেতে পারছিলেন না।

গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। একই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হন।

রাত সোয়া ১ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের অদূরে ফুটপাত পেরিয়ে সড়কের পাশে কনস্টেবল মনিরুলের গুলিবিদ্ধ দেহ উপড় হয়ে পড়ে আছে। তখনও তার ব্যবহৃত রাইফেলটি তার পিঠের উপর পড়েছিল। পুরো এলাকা পুলিশের সোয়াট টিম ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান।

ঘটনার সময়ে ওই সড়ক ধরে কর্মস্থল থেকে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন একাত্তর টিভির কর্মী হাসান আহমেদসহ কয়েকজন। হাসান আহমেদ কালবেলাকে বলেন, তারা ডিউটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ ফিলিস্তিনী দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশেই অস্ত্রধারী আরেক পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের চালক গাড়ির গতি থামালে তিনি গাড়ি থেকেই জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে? দাঁড়িয়ে থাকা অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য হুঙ্কার দিয়েই তাদের দিকে অস্ত্র তাক করে। তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

তিনি জানান, ওই সময়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। তখন আশপাশের লোকজন উকিঝুঁকি দিলেও গুলির কারণে কেউ সামনে আসতে সাহস পাচ্ছিল না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ঘটনার সময় তারা দূতাবাসের ভিতরে ছিলেন। হঠাৎ করে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে বের হয়ে আসেন। বাইরে আসার পর কাউসারকে দেখেন ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর একটু দূরেই পড়ে রয়েছে মনিরুলের মরদেহ।

তিনি বলেন, তখন তারা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞেস করেনন যে কি হয়েছে? তখন তিনি বলেন শালা (মনিরুল) নাটক করতেছে, এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে! এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যান। এরই মধ্যে সবাই বুঝে উঠে যে কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছেন। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments