Friday, November 8, 2024
Homeসিলেট বিভাগবিপদ সীমার ওপর সুরমা–কুশিয়ারার তিন স্থানের পানি

বিপদ সীমার ওপর সুরমা–কুশিয়ারার তিন স্থানের পানি

বিশেষ প্রতিনিধি,

 

সিলেটে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্থানে (পয়েন্টে) পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

 

পাউবো জানিয়েছে, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ২৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫১ মিটার ওপরে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানি ১৫ দশমিক ৫৮ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৮ মিটার ওপরে। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৮৮ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪৩ মিটার ওপরে। এর বাইরে জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমেছে।

 

 

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানমঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। এ ছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ইউনিয়নভিত্তিক চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে।

 

 

 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বানভাসিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ জায়গা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে জেলার জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার অনেক গ্রাম ও রাস্তাঘাট এখনো প্লাবিত। সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা মঙ্গলবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট নগরের উপশহর, সোবহানীঘাটসহ কয়েকটি এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দী আছেন।

 

 

মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১০টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩টি ওয়ার্ড বন্যাকবলিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ৮৩০। বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৭ হাজার ১৬২ মানুষ। জেলায় ৫৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৪ হাজার ৫৫৭ জন। এর মধ্যে নগরেই আছেন চার হাজার।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments