দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
অব্যাহত বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে দোয়ারাবাজার-বোগলাবাজার সড়কের শরীফপুর গ্রামের অংশে সড়ক তলিয়ে এবং পানির তোড়ে ওই সড়কে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ভেঙে গিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে তিনটি ইউনিয়ন।
গত কয়দিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার খাসিয়ামারা, চিলাই, চেলানদী, মরাচেলা নদী ও সুরমাসহ সবকটি নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্যদিকে দোয়ারাবাজার-বোগলাবাজার সড়কে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সামনের ব্রিজের অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আরেক অংশে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে লক্ষ্মীপুর, বোগলাবাজার ও সুরমা ইউনিয়নের। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন। সোমবার উপজেলা সদরের ব্রিটিশ সড়কে কালিউড়ি নদীর উত্তরদিকে সড়কের একাংশ তলিয়েগেছে।
সুরমা ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে সব ক’টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে তিন ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শরীফপুর গ্রামে এবং ওই সড়কে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ভেঙে গিয়ে গত ৫ দিন ধরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছন তিন ইউনিয়নের মানুষ।
উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া বলেন, প্রতিবছর সামান্য পানি বাড়লেই দোয়ারাবাজার সদর থেকে সুরমা-বোগলাবাজার ও লক্ষ্মীপুরের সড়ক তলিয়ে যায়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের কোনো সুদৃষ্টি নেই।
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, পাহাড়ি ঢলে সুরমা ইউনিয়নে অন্তত ৮টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া দোয়ারাবাজার-বোগলাবাজার সড়কের শরীফ অংশ তলিয়ে যাওয়ায় এবং ব্রিজের অ্যাপ্রোচ পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় এই অংশ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে কার্যত তিনটি ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহার নিগার তনু বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের নিকটবর্তী ভেঙে যাওয়া ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সাময়িক মেরামতের কাজ চলছে। স্থায়ী মেরামতের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।