বিশেষ প্রতিনিধি,
ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রবাদটির বাস্তব চিত্রায়ণ নজরে পড়ছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। কুশিয়ারা নদীর ঘোলা পানিতে ভেসে আসছে বড় বড় মাছ। সে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
গত এক সপ্তাহ ধরে ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে ঘোলা পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে দেখা মিলছে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছের। ধরা পড়া মাছগুলোর মধ্যে রয়েছে বাঘাইড়, আইড়, বোয়াল, ব্রিগেট ও কাতলা।
স্থানীয়রা জানান, গত ৪ দিনে নদী থেকে বিশাল আকারের ১০টির মতো বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছগুলোর ওজন ২০-৫০ কেজি পর্যন্ত।
তারা আরও জানান, নদীর গভীরের সুড়ঙ্গে থাকা মাছগুলো ঘোলা পানিতে ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারায় নদী তীরের স্বচ্ছ পানির খোঁজে ছুটে আসছে। প্রবল তাপ প্রবাহে উপরিভাগের পানি গরম হওয়ায় মাছগুলো ভেসে ওঠছে। নদী তীরের বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ছে সেগুলো।
জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ধরা পড়া বিশালাকৃতির মাছগুলো বেশির ভাগ সিলেট নগরীর লাল বাজারের মাছ আড়তে বিক্রি হচ্ছে। যেগুলোর দাম পড়ছে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। শনিবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জের হাটে ৪০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তার আগের রাতে জেনারেল ওসমানী সড়ক মোড়ে ২০ কেজি ওজনের আরেকটি বাঘাইড় মাছের দাম ওঠে ১৭ হাজার টাকা।
স্থানীয় মাছ বিক্রেতা চমক আলী জানান, অন্তত ২০ হাজার টাকা দাম না পেলে এটি তিনি লাল বাজার মৎস্য আড়তে নিয়ে বিক্রি করবেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স্বপন কুমার ধর জানান, ঘোলা পানিতে ভেসে থাকা কাদা, মাছের ফুলকার ভেতর গিয়ে জমে। এতে অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি হয় বলে মাছের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মাছ পরিষ্কার পানির সন্ধানে ছোটে। অনেক সময় পানির উপরিভাগে ভেসে ওঠে বাতাসের জন্য। বৃষ্টি হলে পানি পরিষ্কার হয়ে গেলে এ সমস্যা থাকবে না।