দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি::
দোয়ারাবাজারে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র সংঘর্ষের জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষই নিরাপত্তা এবং প্রতিকার চেয়ে দোয়ারাবাজার থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের খাগুড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের পুত্র মজলুমিয়া ও একই গ্রামের আব্দুল কাদির মোল্লা’র পুত্র আজাদ মিয়ার মধ্যে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে বেধড়ক মারপিটের শিকার হন গরুর মালিক আজাদ মিয়া। পরে এর জের দুই পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আজাদ মিয়ার পক্ষের লোকজন মজলু মিয়ার মরিছ ও সবজি ক্ষেতসহ বাড়ির আশপাশের গাছ গাছালি বিনষ্ট করে দেয়।
এতে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মজলু মিয়ার পক্ষ ৯৯৯ ফোন করে জানালে ওইদিন রাতে দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেন।
মজলুমিয়া জানান, আজাদ মিয়া ও তার আত্মীয় স্বজন প্রভাবশালী লাঠিয়াল। শুক্রবার জোরপূর্বক তাদের মরিছ ও সবজি ক্ষেত গরু দিয়ে নষ্ট করতে থাকলে এতে বাধা দেন। এরই জেরে আজাদ মিয়া ও তার আত্মীয় স্বজনরা তাদের বাড়িঘরে এসে হামালা করে মারধর করে। তারা এখন রাস্তা ঘাটে মারপিট করার জন্য ওতপেতে বসে থাকে। থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তার পরিবার।
অন্যদিকে মারধরে আহত আজাদ মিয়া বলেন, গরু মরিছ ক্ষেতে ঘাস খেতে গেলে আমাকে মজলু মিয়া ও তার চার পুত্র বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখমী করে ফেলে। আমি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসার পূর্বেই মজলু মিয়া উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার এসআই আবুল বাশার জানান, গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে আজাদ মিয়াকে মারধরের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরে আমরা সরজমিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি৷ উভয় পক্ষ দরখাস্ত করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।