স্পোর্টস ডেস্ক,
১০ রানেই নেই তিন উইকেট। ১৮৩ রান তাড়া করতে গিয়ে পাওয়ারপ্লেতে উঠল মোটে ২৭ রান। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ভাগ্যে ঠিক কি লেখা আছে তা স্পষ্ট হয়ে গেল ওই সময়েই। এরপর তানজিদ হাসান তামিম এবং তাওহীদ হৃদয় যখন ফিরেছেন ৫০ রানের আগেই। তখন বাংলাদেশের ১০০ রান পার করা নিয়েই দেখা দেয় শঙ্কা।
কিন্তু দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে চালালেন চালালেন মান বাঁচানোর লড়াই। দুজনের ৭৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন ১১৬ পর্যন্ত। সাকিব যখন আউট হয়েছেন তখনও খেলা বাকি ৮ বল। বাংলাদেশের ইনিংসটা থেমেছে ১২২ রানে। ৬০ রানের বড় হার দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সেরেছে টাইগাররা।
সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে ২ ম্যাচে হার আর ভারতের বিপক্ষে ৬০ রানের হারই বাংলাদেশের বিশ্বকাপের সঙ্গী। মাঝে একটা ম্যাচে এসেছে জয়, আর একটা ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টিতে বাংলাদেশের গড়পড়তা বোলিংয়ের সুবাদে বেশ বড় স্কোরই দাঁড় করিয়েছিল ভারত। তুলনামূলক স্লো এই পিচে বেশ দাপটের সঙ্গেই ব্যাট চালিয়েছে ভারতের ব্যাটিং ইউনিট। তুলনামূলক ধীরগতির এই উইকেটেও উঠেছে ১৮২ রান। বাংলাদেশের জন্য এমন স্কোর খানিকটা কঠিনই বটে।
ব্যাট করতে নেমে আরও একবার পরিষ্কার দেখা গেল বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ভগ্নদশা। প্রথম ওভারেই আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। আর্শদীপের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ঋষভ পান্তের হাতে। রম বাজে অবস্থার মাঝে থাকা লিটন এবারের সুযোগটাও হারিয়েছেন হেলায়। আর্শদীপ সিংয়ের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে খেই হারিয়েছেন। ব্যাট আর পায়ের ফাঁক গলে বল গিয়েছে স্ট্যাম্পে।
৬ বলে শূন্য রান করে মাথা নিচু করে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ককে। সিরাজের বলে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অফস্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরের সেই বল কেন মিডঅনের ওপর দিয়ে খেলতে চাইলেন, সেটার ব্যাখ্যা হয়ত শান্ত নিজেই ভালো দিতে পারবেন। এরপরে দায়িত্ব ছিল তাওহীদ হৃদয় এবং আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ওপর। কিন্তু তুলনামূলক নবীন দুই ব্যাটারই ব্যর্থ হয়েছেন নিজ নিজ জায়গা থেকে।
৫০ রানের আগেই বিদায় নেন ৫ ব্যাটার। দলের হাল ধরেন দুই সিনিয়ার ক্রিকেটার সাকিব এবং রিয়াদ। দুজনে যোগ করেছেন ৭৫ রান। সাকিব খেলেছেন ৩৪ বলে ২৮ রানের তুলনামূলক ধীরগতির এক ইনিংস। আর রিয়াদের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৪০ রান। শেষ ওভারে রিশাদ হোসেন এবং জাকের আলী অনিক বড় শটে আউট হয়ে হতাশার ওপর দিয়েছেন বাড়তি প্রলেপ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো সংগ্রহই পায় ভারত। শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পরও রোহিত শর্মার দল তোলে ১৮২ রান। মূলত সাকিব আল হাসান ও তানভীর ইসলামের খরুচে দিনে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন রিষাভ পান্ত–হার্দিক পান্ডিয়ারা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশকে বড় টার্গেট দিতে বেগ পেতে হয়নি ম্যান ইন ব্লুদের।