স্টাফ রিপোর্টার,
সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপরে। রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এ ধারা। তখন তিস্তা ধরেও নামতে পারে উজানের ঢল। তাতে অবনতি হতে পারে পরিস্থিতির। এদিকে, সিলেটে বড় বন্যার ঝুঁকি দেখছে না পূর্বাভাস কেন্দ্র। তবে, উত্তরের তিস্তা অববাহিকা নিয়ে তারা শঙ্কিত।
বৃষ্টি কমায় পিয়াইন-খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে। তবে সুরমা-কুশিয়ারার উন্নতিতে লাগবে আরও কয়েকদিন। তাই উজানের ঢলে সিলেটের বন্যাকে বড় করে দেখছে না পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তারা বলছে, স্থানীয়ভাবে বৃষ্টি কমেছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থতি। তাই সিলেটে বড় বন্যার ঝুঁকি কম।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি বৃদ্ধির যে প্রবণতা ছিল, সেটি অনেকটা স্থিমিত হয়ে আসতে পারে এবং স্থির অবস্থা বিরাজ করতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানি কিছুটা কমারও সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে দেখা যাচ্ছে, সিলেট জেলায় যে বন্যা রয়েছে তার অবস্থার উন্নতি হতে পারে।’
ভারতের পাহাড়ী ঢলে সিলেটে পানিবন্দী সাড়ে ৫ লাখ মানুষভারতের পাহাড়ী ঢলে সিলেটে পানিবন্দী সাড়ে ৫ লাখ মানুষ
তবে, উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠছে তিস্তা। রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়ায় ভাঙছে নদী। উজানে সিকিম, আসাম, জলপাইগুড়িতে ভারী বর্ষণের আভাস দিচ্ছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে সিকিমকে। অন্যদিকে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারীতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ঢাকার আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, শুধু সিলেট কিংবা রংপুর নয়। এর বাইরে ভারতের উত্তরের লাগোয়া অংশেও বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। এতেই কিন্তু পানি বেড়েছে। এই বৃষ্টিপাত আরও ৭–৮ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
বৃষ্টি অব্যাহত, সিলেটে নদীর পানি আরও বাড়বে
ভারী বর্ষণের প্রভাবে উজানের ঢল রোববার নাগাদ তিস্তা ধরে ভাটিতে চলে আসার শঙ্কা করছে পূর্বাভাস কেন্দ্র। তেমন হলে নাজুক হতে পারে পরিস্থিতি। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘দেশের উজানে ভারতের আসাম এবং সিকিম অংশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ধীরে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেও ভারতের আসাম ও সিকিমে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে তিস্তার পানি বেড়ে যেতে পারে।’
বন্যা পূ্র্বাভাস কেন্দ্র আরও জানাচ্ছে, ৩ জুন পর্যন্ত উত্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকবে।