স্পোর্টস ডেস্ক,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাকিব আল হাসানের সেকেন্ড হোম (দ্বিতীয় বাড়ি)। এই কথাটি কমবেশি সবাই জানেন। কারণটাও সবার জানা। তিনি বিয়ে করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাঙালি উম্মে আহমেদ শিশিরকে। তিনি সেখানকার নাগরিক। এমনকি সাকিবের তিন সন্তানও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। পরিবারের কাছে যাওয়া-আসায় রীতিমতো দেশটি সাকিবের কাছে সেকেন্ড হোমই হয়ে উঠেছে।
এই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই এবারের বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিলিয়ে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। স্বাভাবিকভাবে দেশটি নিয়ে যেহেতু সাকিবের জানা-শোনা বেশি তাই হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়ার সুযোগও বেশি। সেই কথাটাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রকাশিত ‘দ্য গ্রিন স্টোরি’ তে বলেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার।
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ সুবিধা পাবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেছেন, ‘আমার সেকেন্ড হোম ঠিক আছে। তবে হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না বলাটা মুশকিল। কিন্তু আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকা,
এ দুটো জায়গাতেই আমরা খেলেছি, এর আগে ফ্লোরিডায় যখন খেলেছি বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সবসময়ই সুবিধা পাই। কারণ পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। তাই আমি আশা করছি দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাব।’
সেই সঙ্গে ভক্তদের সমর্থন পাবে বলেও মনে করেন সাকিব। সাবেক এই অধিনায়ক বলেছেন, ‘এখানে থাকা প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক অপেক্ষা করছে। আশা করি তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে আমাদের। তাদের এই সমর্থন আমাদের কাজে আসবে এবং আমরা ভালো ফল পেতে সমর্থ হব।’
নিজের বিশ্বকাপ লক্ষ্য নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘আমার নামের পাশে আমি কিছু দেখতে চাই না। একটি জিনিসই চাই যেন বাংলাদেশের হয়ে অবদান রাখতে পারি। এই বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারি।’