ধর্ম ডেস্ক,
জুমার দিন যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে এই মৃত্যুর কি বিশেষ কোনো ফজিলত আছে? অনেককে বলতে শোনা যায়— জুমার দিন মারা গেলে অনেক ফজিলত। সুতরাং এ দিন কেউ মৃত্যুবরণ করলেই বিনা হিসেবে জান্নাতে চলে যাবেন।
তাদের এই কথার বাস্তবতা কতটুকু? শরিয়ত এই ব্যাপারে কী বলে?
উত্তর : হিসাব হবে না বা সরাসরি বেহেশতে চলে যাবে, এ ধরনের বক্তব্য হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। তবে যদি কেউ জুমার রাতে মারা যায়, তাহলে তাকে কবরের আজাব থেকে মানে কবরের যে শাস্তি আছে, সেই শাস্তি থেকে পরিত্রাণ বা মুক্তি দেওয়া হবে। এই মর্মে সহিহ হাদিস রয়েছে। কিন্তু বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে অথবা সরাসরি জান্নাতে চলে যাবে, এ ধরনের বক্তব্য হাদিসে আসেনি। যেটা এসেছে, সেটা হলো কবরের ফেতনা বা কবরের আজাব থেকে সে মুক্তি পাবে।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান জুমার দিনে কিংবা জুমার রাতে মৃত্যুবরণ করবে, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১০৯৫; মিশকাত, হাদিস : ১৩৬৭; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১১/১৪৭)
উপর্যুক্ত হাদিসের আলোকে ইসলামি স্কলারগণ বলে থাকেন যে, শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করলে বিনা হিসেবে জান্নাত বা কিয়ামত পর্যন্ত কবরের আজাব মাফ এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
এ সম্পর্কে মুল্লা আলী কারী (রহ.) বলেন, জুমার দিনে বা রাতে যে মারা যাবে, তার থেকে কবরের আজাব উঠিয়ে নেওয়া হবে এটা মোটামুটি প্রমাণিত। তবে কিয়ামত পর্যন্ত আজাব আর ফিরে আসবে না এ কথার কোনো ভিত্তি আমার জানা নেই। (মিনাহুর রাওদিল আযহার ফি শরহি ফিকহিল আকবার, পৃষ্ঠা : ২৯৫-২৯৬)।