সাজ্জাদ মাহমুদ মনির, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক দোলারবাজারে এক ব্যবসায়ীকে তার দোকান থেকে জোরপুর্বক বের করে দিয়ে দোকানে কয়েকটি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে একটি মহল। গত মঙ্গলবার ২১ মে দিন দুপুরে দোয়ারাবাজারের মাদ্রাসা মার্কেটের ৪ নং দোকানে এ ঘটনাটি ঘটেছে। দোকান মালিক ফখরুল ইসলাম বাবুল জানান,মাদ্রাসা কমিটির কাছ থেকে দোকান কোঠা চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি জননী ভেরাইটিজ ষ্টোর নামের দোকানটি পরিচালনা করে আসছেন। মাদ্রাসা কমিটির নাম ধরে তৃতীয় পক্ষের কিছু লোক এ কাজটি করেছে। দোকানে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ও নগদ টাকা রেখেই তারা তাকে জোরপূর্বক দোকান ঘর থেকে বের করে দিয়ে দোকানটি তালাবদ্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দোকানটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। আশ-পাশের দোকানীরা মঙ্গলবারের এ ঘটনাটি দেখেছেন ও স্বীকার করে জানিয়েছেন,একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ফায়দা লুঠার উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এব্যাপারে দোকান মালিক কল্যানপুর গ্রামের ফখরুল ইসলাম থানায় অভিযোগ দেয়ায় জাহিদ পুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পলাশ রঞ্জন দাস একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
দোলারবাজার ইউনিয়নের মেম্বার, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মছলু মিয়া এ ব্যাপারে জানান
কেন একটি মহল তার প্রতি এ অন্যায় আচরণ করেছে করেছে তার জানা নেই। তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি থাকা অবস্থায় ফখরুল ইসলাম বাবুল
কে দোকানঘর ভাড়া দেয়া হয়েছে আগামী মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত চুক্তি অনুযায়ী দোকান ভাড়ার মেয়াদ ও রয়েছে। এবং ফখরুল ইসলাম বাবুল একজন বিশ্বস্থ ও ভালো ব্যবসায়ী।
দোলারবাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক
কবির আহমদ জানান,বাজারের একজন সৎ ও ভালো ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম বাবুল। কেন তার সাথে এই ধরনের আচরণ করছে একটি পক্ষ এটি আমার জানা নেই।তিনিও বাজার পরিচালনা কমিটির নিকট এ বিষয়ে
বিচার প্রার্থী হন নি। তবে তার সাথে এ ধরনের কাজ করা মোটেই সমীচিন হয় নি। এতে বাজারের ও সুনাম ক্ষুন্ন হবে।
বাজার পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি আব্দুস সালাম কল্যানপুর গ্রামের খোয়াজ আলী,বাজারের ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন,লিলু মিয়া জানান, বাজারের একজন ভালো ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম বাবুলের উপর যেভাবে মাদ্রাসা কমিটির নামে অন্যায় অত্যাচার করা হয়েছে তা
কখনো আশা করা যায় নি। এ বিষয়ের একটি সমাধান দ্রুত প্রয়োজন।
এদিকে শনিবার দিনভর দোকানের চাবি বুঝিয়ে দেয়ার
নাটক করেছেন ফখরুল ইসলাম বাবুলের থানায় দায়েরী অভিযোগের অভিযুক্তরা। তারা টাকা-মালামাল সহ দোকান বুঝিয়ে নেয়া হয়েছে এ ধরনের একটি কাগজ তৈরি করে দোকান মালিকের স্বাক্ষর নিতে চেষ্টা করেছে।
এতে দোকান মালিক রাজি না হওয়ায় দুপুরে দোকান খোলা হয় কয়েকজন সালিশের উপস্থিতিতে। এ সময় ফখরুল ইসলাম বাবুল তার দোকান থেকে নগদ টাকা সহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল খোয়া গেছে বলে হিসেবে জানান উপস্থিতিদের কাছে এবং দোকান এভাবে বুঝে নেবেন না বলেও জানান তিনি।
সন্ধ্যায় অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর পলাশ রঞ্জন দাস ঘটনাস্থলে এসে তাকে চাবি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ সব তথ্য জানিয়ে ফখরুল ইসলাম বাবুল বলেন,দোকান থেকে খোয়া যাওয়া টাকা ও মালামালের বিষয়ে তিনি থানায় পৃথক অভিযোগ দেবেন।