বিশেষ প্রতিনিধি,
সিলেটের কৈলাশটিলার ৮ নম্বর অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপটির ৩ হাজার ৫০০ মিটার খনন শেষে সম্প্রতি গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে অনুসন্ধানকারী টিম। এ কূপ থেকে প্রতিদিন ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
আগামী ৩ মাসের মধ্যে এখান থেকে প্রাপ্ত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপের খনন কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স)। এই কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপ নিয়ে গত সাত মাসে সিলেটে ৪টি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। গত ২৭ জানুয়ারি রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ মিলিয়ন ঘনফুট। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে পুরানো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। তারও আগে ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাশটিলায় পরিত্যক্ত ২ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়। এখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস সূত্রে জানা গেছে, কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপের খনন কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। কূপটির খনন কাজ করছে বাপেক্স। ইতোমধ্যে কূপটির ৩ হাজার ৫০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৪৪০ থেকে ৩৪৫৫ মিটার গভীরতায় নতুন গ্যাসের স্তর পাওয়া গেছে। এখন পরীক্ষা চলছে। এ কূপ থেকে প্রাথমিকভাবে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছি। বর্তমানে সেখানে আরও পরীক্ষা চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। আশা করছি, ভবিষ্যতে জাতীয় গ্রিডে আরও বেশি গ্যাস সরবরাহ করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কূপটির ৩৫০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৪৪০ থেকে ৩৪৫৫ মিটার গভীরতায় নতুন গ্যাসের স্তর পাওয়া গেছে। গ্যাসের চাপ রয়েছে ৩৩৭০ পিএসআই। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এখান থেকে প্রাপ্ত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
প্রসঙ্গত, সিলেটের চারটি ফিল্ডের ১২টি কূপ থেকে প্রতিদিন ১১৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষে সেই উৎপাদন ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে বাড়ার আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। আর সরকারের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সকল কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এই কোম্পানি থেকেই প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব।