বিশেষ প্রতিনিধি,
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ব্যপক আলোচনায় চা কন্যা খাইরুন আক্তার। যাদুকরী কণ্ঠের অধিকারী। অনর্গল বক্তৃতা করে দর্শকের মন জয় করেন তিনি। মাত্র ১৭০ টাকা দৈনিক মজুরিতে চা পাতা উত্তোলন করে সংসার চালান। তার রয়েছে একটি প্রতিবাদী মন।
এবার তিনি চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তার বাড়ি চান্দপুর চা বাগানে। খাইরুন আক্তার অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ে যখন দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তখন তার বাবা আব্দুল মজিদ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন।
বাধ্য হয়ে মা, ৩ বোন আর এক ভাইয়ের মুখে খাবার যোগাড় করতে পড়াশুনা ছেড়ে বাগানে শ্রমিক হিসেবে নাম লেখান। শুরু হয় খাইরুনের জীবন সংগ্রাম।
কাজের ফাঁকে অবহেলিত চা শ্রমিকদের নানা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। এ কারণে ‘বাংলাদেশ চা কল্যাণ নারী সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন। খাইরুন আক্তার মানবজমিনকে বলেন, চা শ্রমিকরা চির অবহেলিত।
বিশেষ করে নারী শ্রমিকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। তিনি সেই নারীদের দাবি নিয়ে সব সময় সোচ্চার থাকেন। তিনি বলেন, ১৭০ টাকা মজুরিপ্রাপ্ত নারীদের মধ্যে তিনি প্রথম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ শ্রমিকরা ৫ টাকা, দশ টাকা দিয়ে একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে। সেই ফান্ড দিয়ে কিছু পোস্টার ছাপা হবে, নির্বাচনের খরচ মেটানো হবে। তার কর্মীরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে নির্বাচনে প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোচিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি জাতি-গোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে কলস মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেছেন।