ধর্ম ডেস্ক,
ইসলাম একজন মুসলমানের ওপর যেসব ইবাদতের বিধান দিয়েছে তার কিছু শারীরিক ইবাদত, কিছু আর্থিক, কিছু শারীরিক এবং আর্থিক দুটোর সম্বন্নয়ে। এর মধ্যে কোরবানি হলো আর্থিক ইবাদত।
সামর্থ্যবানদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। জাকাত ও কোরবানির নিসাব একই। ফলে যাদের ওপর জাকাত ওয়াজিব, তাদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব।
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী— যে কোরবানির দিনগুলোতে সাড়ে সাত ভরি সোনা, সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা ওই পরিমাণ রুপার সমমূল্যের নগদ অর্থ অথবা বর্তমানে বসবাস ও খাবারের প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজনাতিরিক্ত বাড়ি, ব্যাবসায়িক পণ্য ও প্রয়োজনাতিরিক্ত অন্য আসবাবপত্রের মালিক হবে, তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।
জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ কোরবানি করা যায়। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০ তারিখেই (বা প্রথম দিনে) কোরবানি করা উত্তম।
কোরবানির পশু নিজে জবাই করা উত্তম। তবে নিজে জবাই করতে না পারলে যারা জবাইয়ের কাজে অভিজ্ঞ তাদের মাধ্যমে জবাই করিয়ে নেওয়া যায়। যারা কোরবানির পশু জবাই করে থাকেন, জবাইয়ে বিনিময় হিসেবে তাদের পারিশ্রমিক নেওয়ার প্রচলন রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো— কোরবানির পশু জবাই করে এর বিনিময় বা পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েজ আছে। তবে কোরবানির পশুর কোনো অংশ, অর্থাৎ, পশুর গোশত, চর্বি বা অন্য কোনো অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে নেওয়া বা দেওয়া জায়েজ হবে না।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৫৪; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩২; ইমদাদুল আহকাম ৪/২৬৪; কিফায়াতুল মুফতী ৮/২৪৩)।