নিজস্ব প্রতিবেদক,
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক অ্যাপ চালু করা হয়েছে।
কৃষকরা এক সময় ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন তারা রাস্তায় নামেন না, আন্দোলনও করে না। কারণ, কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষক অ্যাপসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়াও সরকার কৃষি উপকরণ বিতরণ, সার, বীজসহ নানাভাবে কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছে।
রোববার (১২ মে) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাইয়ে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ময়েজ উদ্দিন শরীফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আকতার, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে কৃষিমন্ত্রী উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের প্রদর্শনীর ফসল কাটা উৎসবে অংশ নেন এবং মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ধানের ফড়িয়া-দালালরাও দেশের অর্থনীতির অংশ। বোরো ধানের মূল্য ১১০০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ফড়িয়াদের কারণে প্রান্তিক কৃষকরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার বেশি পাচ্ছেন না। বাজার একচেটিয়া হলেও সমস্যা আছে। কারণ, ধানের বাজারে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতা থাকবেই।
অর্থনীতি অনুযায়ী ধানের বাজার তৈরিতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, কৃষক বাঁচলে তবেই দেশ বাঁচবে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কৃষক ভাইদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য এখানে এসেছি। তাদের আগ্রহ বাড়াতে সরকার সার ও কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে সরকার এ নীতি গ্রহণ করায় কৃষকরা এখন লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।