সিলেট প্রতিনিধি,
সিলেটে সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ উপজেলার ফলাফল মিললেও এক প্রিজাইডিং অফিসারের রহস্যজনক আটকে আছে বিশ্বনাথ উপজেলা ফলাফল।
বুধবার (৮ মে) রাতে স্ব স্ব উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দ্বিগুণ ভোট পেয়ে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। ৬২ টি ভোট কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এলিমের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল।
তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে লড়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায় দোয়াত-কলম ৩৭ হাজার ৭৮৯, আনারস ২৯ হাজার ১৭ ও ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট।
সিলেট দক্ষিন সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম টেলিফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল)। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া)। জানা গেছে, বদরুল ২১ হাজার ৭৬৮, শামীম ১৩ হাজার ৯৮৮ ও জুয়েল ১২ হাজার ৩০৭টি ভোট পেয়েছেন।
অন্যদিকে, বুধবার দিবাগত মধ্যরাত (১২টা) পর্যন্ত চূড়ান্ত বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে পারেননি সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
জানা গেছে, রাত ৯টার ভেতরেই উপজেলার ৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টির ফলাফল মিলে যায়। কিন্তু এসময় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইটিং অফিসার মো. বিল্লাহ হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেন।
অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন- নোয়ারাই কেন্দ্রে ভোগ গণনা শেষে প্রিজাইটিং অফিসার তড়িঘড়ি করে ফলাফলের কাগজ কোনো এজেন্টের স্বাক্ষর না নিয়ে চলে আসেন। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্তও তিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় না পৌঁছালে কর্মকর্তা তাকে পুলিশ পাঠিয়ে নিজ বাসা থেকে ডেকে আনেন। আসার পর তিনি নোয়ারাই কেন্দ্রের রিজাল্ট শিট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দিলে দেখা যায়- এতে কোনো এজেন্টের স্বাক্ষর নেই।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কাগজে ভোটের সংখ্যা এবং গণনা শেষে কেন্দ্রে ঘোষণার সংখ্যার মধ্যে তারতম্য রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে তিনি সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নিয়ে সমাধানের জন্য আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, ৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টির পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী- জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে।