স্পোর্টস ডেস্ক,
লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিং দুর্দশা – এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা সম্ভবত এটিই। তামিম ইকবালের অবসর-নাটক এবং এরপর জাতীয় দলে ফেরা-না ফেরা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে টপ অর্ডারে লিটন আর শান্তর ওপরই সবচেয়ে বেশি ভরসা ছিল বাংলাদেশ দলের। সেটি তাঁরা প্রতিভাবান বলে যেমন, তেমনি দুজনই টপ অর্ডারে সবচেয়ে সিনিয়র বলেও। অথচ একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ দুজন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও একই দশা। লিটন দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়েছেন, আগের দুই বলে স্কুপ করতে ব্যর্থ হয়েও তৃতীয়বারেও স্কুপ করতে গিয়েই বল টেনে এনেছেন স্টাম্পে। আর শান্ত বোল্ড হয়েছেন রাজার আর্ম বল পড়তে না পেরে।
বাংলাদেশ ম্যাচটা ৯ রানে জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা তাওহীদ হৃদয়ের কাছেও প্রশ্ন গেল লিটন আর শান্তর রানখরা নিয়ে। স্বভাবতই দুজনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন হৃদয়।
লিটনের আউট নিয়ে বললেন, ‘আউট সম্পর্কে কী বলব? আউট তো যেকোনো রকমের হতে পারে। বোল্ডও তো আউট, না? আউটের মধ্যেই তো পড়ে। ঠিক আছে, দুই-একটা ইনিংস এদিক-ওদিক হতেই পারে। আবার যেদিন ভালো সুযোগ পাবে, দেখবেন, তাঁরাই ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছেন। টপ অর্ডার থেকে এক শ করে দলে অবদান রাখবে।’
লিটনের চেষ্টায় কোনো কমতি নেই জানিয়ে হৃদয় বলেছেন, ‘কেউ তো ইচ্ছা করে উইকেট দিয়ে আসে না। লিটন ভাই বা যাঁরা টপ অর্ডারে ব্যাট করেছেন, সবাই চেষ্টা করেছেন নিজের সেরাটা দিতে। আপনিও আপনার পেশায় সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছেন। কেউই সবসময় ভালো খেলে না। উনার স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। খুঁজে দেখেন বাংলাদেশের সেরা ২-৩ জনের ভেতরেই আছেন তিনি। বিশ্বের যত বড় ব্যাটারই হোক, সব ম্যাচ বা সিরিজ সে ভালো খেলে না। আশা করি সবাই ভালোভাবে ফিরে আসবে।’
লিটনের মতো শান্তকে নিয়েও প্রশ্নে হৃদয়ের উত্তর, ‘একটা ইনিংস ভালো খেললে আত্মবিশ্বাস চলে আসবে। শুধু একটা ইনিংসের অপেক্ষা। এমন হতে পারে একটা বড় ম্যাচে খেলার দৃশ্য বদলে দেবেন তাঁরা। সবার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে, বিশ্বাস হারালে হবে না।