Sunday, November 24, 2024
Homeখেলাধুলাক্রিকেটসেলফির আবদারে মেজাজ হারালেন সাকিব, কী ঘটেছিল আসলে?

সেলফির আবদারে মেজাজ হারালেন সাকিব, কী ঘটেছিল আসলে?

স্পোর্টস ডেস্ক,

 

গতকাল সকালে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে ডিপিএলের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মাঠে উপস্থিত ছিলেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। ম্যাচ শুরুর আগেই এদিন ঘটে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা।

 

সেলফির আবদার, অতঃপর…

 

মাঠের পাশে সীমানার দড়ির কাছে দাঁড়িয়ে সাকিব কথা বলছিলেন প্রাইম ব্যাংক কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও শেখ জামাল কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে। এ সময় হঠাৎ করেই এক দর্শক সেখানে ছবি তোলার আবদার নিয়ে আসেন সাকিবের কাছে। সাকিব কয়েকবার নিষেধ করেন ছবি তুলতে, নাছোড়বান্দা দর্শক সেসবে পাত্তা দেননি। আবদার করতেই থাকেন।

 

এ সময় অনেকটা বাধ্য হয়েই তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাকিব। এক পর্যায়ে তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে চড় মারতে উদ্যত হন। অবশ্য নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারাননি তিনি। চড় মারতে গিয়েও থেমে যান তারকা অলরাউন্ডার। পরে সেই ভক্তকে অবশ্য মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

 

এক দর্শক ছবি তোলার আবদার নিয়ে আসেন সাকিবের কাছে। যদিও সাকিব কয়েকবার নিষেধ করেন ছবি তুলতে, নাছোড়বান্দা দর্শক তবুও আবদার করতেই থাকেন। এ সময় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাকিব।

সাকিবের এমন কাণ্ডের ভিডিও এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সাকিবের সমালোচনা শুরু করেছেন। এর আগে সকালে স্টেডিয়ামের প্রবেশের সময়ও আরও একবার মেজাজ হারান সাকিব। তখনও এক ভক্ত সেলফি তোলার জন্য ফোন নিয়ে এগিয়ে এলে সাকিব ফোন কেড়ে নিতে উদ্যত হন। শেষ পর্যন্ত যদিও সেখানে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।

 

স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

 

পুরো ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে। জাতীয় দলের একাধিক তারকা আছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলায়। তাদের ঠিক সামনে ভক্তদের এমন অবাধ বিচরণ নিয়ে প্রশ্ন আছে। চলতি ডিপিএলেই ফতুল্লার মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার।

 

বিতর্কের দিনে অনন্য কীর্তিতে সাকিবের নাম

 

ভক্তের ওপর মেজাজ হারানোর বিতর্কের ম্যাচেই আব্দুর রাজ্জাক ও মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার পর তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

 

সবার আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট স্পর্শ করতে রাজ্জাকের লেগেছিল ২৬৯ ম্যাচ। এ ছাড়া মাশরাফির লেগেছিল ২৮৭ ম্যাচ। ম্যাচের হিসেবে সময়টা একটু বেশি লেগেছে সাকিবের। ৪০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখাতে টাইগার অলরাউন্ডার খেলেছেন ৩০৮ ম্যাচ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments