স্পোর্টস ডেস্ক,
প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ কী করে ফেলল, সেটা ভেবে আফসোস করতে পারে জিম্বাবুয়ে। শেষদিকে ক্লাইভ মাদানদে আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ইনিংস স্বচক্ষে দেখার পর টপঅর্ডারের ব্যাটারদের আরেকটু দেখেশুনে না খেলার অনুশোচনাও হতে পারে।
শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। অথচ ৪১ রানেই তারা হারিয়ে ফেলেছিল ৭ উইকেট। এরপর টাইগার বোলারদের সামলে জিম্বাবুয়েকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন মাদানদে-মাসাকাদজা। মাদানদে ৪৩ ও মাসাকাদজা ৩৪ রান করেন।
শরিফুল ইসলামের ওভারে ৮ রান দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভার থেকেই আঘাত হানতে শুরু করে টাইগার বোলাররা। শেখ মেহেদী নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন ক্রেগ এরভিনের উইকেট। ২ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি ক্রেগ।
এরপর আবারও খরুচে শরিফুল। দ্বিতীয় বার বল হাতে নিয়ে ১৩ রান খরচ করেন বাঁহাতি পেসার। তাসকিন আহমেদ নিজের প্রথম ওভারে দেন ৫ রান। ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন করেন দলীয় ৫ম ওভার। তার ষষ্ঠ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে জয়লর্দ গাম্বি তাসকিনের হাতে ধরা পড়েন শর্ট ফাইন লেগে। ১৪ বলে ১৭ রান করেন গাম্বি।
পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়ে আবার উইকেট পান শেখ মেহেদী। তার ওভারে রান নিতে গিয়ে রানআউট হন ব্রায়ান বেনেত (১৬)। সিকান্দর রাজাকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে মেহেদী তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। মেহেদীর মতো তাসকিনও জোড়া উইকেট পান নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে।
টানা দুই বলে তিনি নেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লের উইকেট। সফরকারীদের সপ্তম উইকেটটি নেন সাইফউদ্দিন। তাতে ১০ ওভারের আগেই চোখে সর্ষে দেখা শুরু হয় সিকান্দর রাজা বাহিনীর।
৭ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে যখন গুটিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে, তখন দাঁড়িয়ে যান ক্লাইভ মাদানদে ও মাসাকাদজা। শেষদিকে রীতিমতো ঝড়ো ব্যাটিংই করেন তারা। ১৮তম ওভারে রিশাদ হোসেনকে পিটিয়ে তুলেন ১৬। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হজম করেন তাসকিন। পরের বলে দেন এক রান। তৃতীয় বলে তিনি উড়িয়ে দেন মাদানদের স্টাম্প। ৩৯ বলে ৬টি চারের মার খেলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটার।
সাইফউদ্দিনের বলে আউট হন ব্লেজিং মুজারাবানি। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়া মাসাকাদজা ৩৮ বলে ২টি চারের পাশাপাশি ২টি ছয়ও হাঁকান। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন তাসকিন ও সাইফউদ্দিন। ২টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান।