Saturday, November 23, 2024
Homeঅন্যান্যকৃষিবন্যার আশঙ্কা, হাওরে দ্রুত ধান কাটার অনুরোধ কৃষকদের

বন্যার আশঙ্কা, হাওরে দ্রুত ধান কাটার অনুরোধ কৃষকদের

স্টাফ রিপোর্টার,

 

 

সুনামগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকেও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ কারণে হাওরে রোপণ করা ধান দ্রুত কাটতে কৃষকদের অনুরোধ জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে আলোচনার পর হাওরের ধান ও খড় নিরাপদে উঁচু স্থানে সরিয়ে নিতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

 

সুনামগঞ্জে এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়, জেলার ৮৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ আবাদি জমিতে ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে হাওরাঞ্চলের নিচু এলাকার ৯৭ দশমিক ৬ শতাংশ জমিতে ধান কাটা শেষ হয়েছে।

 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানের মেঘালয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারি ও অতিভারি বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে।

এ কারণে নদনদীর পানি বাড়বে। হাওরে বন্যার আশঙ্কা আছে। তিনি হাওরের কিছু কিছু বাঁধ পরিকল্পিতভাবে কেটে পানি প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার কথাও বলেন। অন্যথায় মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢলে লোকালয় বা জনবসতি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

 

এদিকে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটা এবং মাড়াই করা ধান ও খড় নিরাপদে স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম সিলেটের কাগজ কে বলেন, অসাবধানতার কারণে মাড়াই করা ধান যেন ঢলের পানিতে নষ্ট না হয়, সে জন্য কৃষকদের সতর্ক করতে উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আজ শুক্রবার জেলার সব মসজিদের মাইকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে হাওর থেকে মাড়াই করা ধান ও খড় উঁচু স্থানে নিরাপদে এনে রাখার জন্য প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে জেলা তথ্য অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ উপজেলায় মাইকিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।

 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিজন কুমার সিংহ, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফর উদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments