বিশেষ প্রতিনিধি,
সুনামগঞ্জে ক্রাশার মিল সংলগ্ন চর থেকে সুমা আক্তারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী রহমত আলীকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ মে) রাত ১১টায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার এই ঘটনা নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন দাস জানান, সুরমা ইউনিয়নের বেড়িগাও গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে রহমত আলীর সাথে ১ বছর আগে চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে সুমা আক্তারের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুত্র ধরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে দুজনের সম্মতিতে বিয়ে করেন তারা।
এর আগে রহমত আরেকটি বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দুই জনের মধ্যে কলহ চলতে থাকে। রহমত আলী তার স্ত্রীকে প্রায় সময় সন্দেহের চোখে দেখতেন। এর জের ধরে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় বান্ধবীর বাড়ি থেকে সুমাকে নিজ বাড়ি বেড়িগাঁও নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশা করে বুদারগাঁও পয়েন্টে নেমে পাঁয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে রহমত আলী তার স্ত্রী সুমাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।
এসময় সুমা চিৎকার দিলে খুনি রহমত আলী মুখে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এর পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে রহমত। পরে লাশ গুম করার জন্য নিজ কাঁধে নিয়ে নবীনগর নির্জন চরে ফেলে আসে।
বুধবার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গভীর রাতে পৌর এলাকার নবীনগর খন্দকার হাসপাতালের সামনে থেকে স্বামী রহমত আলীকে গ্রেফতার করা হয়। ওসি জানান, গ্রেফতারের পর আসামি খুনের সত্যতা স্বীকার করেন। এবং তার দেখানো পথেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।