নিজস্ব প্রতিবেদক,
দুর্যোগ মোকাবিলার আগে থেকেই সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। তিনি কৃষকদের দ্রুত ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন।
এছাড়াও শুক্রবার জুমার নামাজের আগে জেলার সকল মসজিদে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে মুসল্লীদের অবগত করার জন্য ইমাম মোয়াজ্জিন পরিষদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন। সকল উপজেলার ইউএনওদের মাইকিং করার ও নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব বিজন কুমার সিংহের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, খাদ্য কর্মকর্তা, সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সাংবাদিক পংকজ দে, জেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন.প্রমু।
সুনামগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশংকার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্যা হতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওরের ধান দ্রুত কাটার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে হাওরের ধান ও খড় নিরাপদে উঁচু স্থানে আনতে বলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জে এবার দুই লাখ ২২ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বোর ধান হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়েছে, জেলায় উঁচু ও নীচু মিলে ৮৪.৫৪ শতাংশ ধান কাটা শেষ। নীচু এলাকার ধান কাটা ৯৭. ৬ শতাংশ কাটা শেষ হয়েছে।
এই অবস্থায় সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার সিলেটের কাগজ কে বলেন, আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে জানানো হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানের মেঘালয়ে এই মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে। এ কারণে নদ-নদীর পানি বাড়বে। হাওরে বন্যার আশঙ্কা আছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষেতের ধান কাটা, মাড়াই করা ধান ও খড় নিরাপদে স্থানে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।