দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:::
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের অভিযানে ৮ ঘন্টার মধ্যে একটি ক্লু-লেস ধর্ষণসহ খুন মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন সুনামগঞ্জ সদর থানার বল্লভপুর গ্রামের খলিল আহমদের ছেলে মোঃ লিটন আহমদ (২০)। দোয়ারাবাজার থানাধীন পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের অর্ন্তগত চেঙ্গাইয়া সাকিনস্থ দশনলী চৌরাস্তা হতে আজ সকাল পৌনে ৭টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার পান্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে তমা আক্তার (১৮) গত ২৯ এপ্রিল রাত ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে তার বসতঘরের চৌকাঠের সাথে ওড়না দিয়ে হাটু ভাজ করা অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে বলে থানায় জানানো হয়। উক্ত সংবাদ পাওয়ার পর দোয়ারাবাজার থানার এসআই মোহাম্মদ আবুল বাশার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তিনি ভিকটিমের পিতাসহ আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমের মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারদের অবহিত করেন। ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা ফরিদ আহমদ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
মামলা রুজুর পর জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোহাম্মদ আবুল বাশারসহ থানা পুলিশের একাধিক টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি শনাক্ত করাসহ গ্রেফতারে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মোঃ লিটন আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ লিটন আহমদ ভিকটিম তমা আক্তারকে (১৮) ধর্ষণ পূর্বক হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ বিষয় আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি.) দুপুর ২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্, পিপিএম-সেবা মামলার ঘটনার বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাজন কুমার দাসসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য সদস্যগণ ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।