Friday, November 8, 2024
Homeখেলাধুলাক্রিকেটমুস্তাফিজের দুই উইকেট, চেন্নাইয়ের বড় জয় 

মুস্তাফিজের দুই উইকেট, চেন্নাইয়ের বড় জয় 

 

 

স্পোর্টস ডেস্ক,

 

রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর ড্যারিল মিচেলের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে বাকি কাজটা দারুণভাবে সামলালেন তুষার দেশপান্ডে, মুস্তাফিজ ও পাথিরানারা। ব্যাট-বল ও ফিল্ডিং নৈপুণ্যে ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৭৮ রানের বড় জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।

 

রোববার চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরমে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ২১৩ রানের বড় পু্ঁজি গড়েছিল স্বাগতিক দল। ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক রুতুরাজ। এ ছাড়া ৩২ বলে ৫২ রান করেন ড্যারিল মিচেল।

 

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চলতি মৌসুমে ব্যাট হাতে একের পর এক রেকর্ড গড়া দলটা নিজেদের সর্বশেষ দুই ম্যাচে পরে ব্যাট করতে নেমে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখছে যেন। হায়দরাবাদের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস এসেছে এইডেন মার্করামের ব্যাট থেকে। চেন্নাইয়ের হয়ে চার উইকেট শিকার করেছেন তুষার দেশপান্ডে। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও পাথিরানা।

 

টস হেরে এদিন চেন্নাইকে আগে ব্যাট করতে পাঠান হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। যদিও শুরুটা খুব দ্রুতগতির হয়নি স্বাগতিকদের জন্য। দলীয় ১৯ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে। সেখান থেকে দলের ইনিংস গড়তে শুরু করেন রুতুরাজ এবং ড্যারিল মিচেল। তাদের জুটি থেকে আসে ১০৭ রান। মিচেল যখন আউট হয়েছেন, ততক্ষণে চেন্নাই পেয়েছে বড় রানের ভিত।

 

৩২ বলে ৫২ করা মিচেলের বিদায়ের পরেই ঝড় তুলতে ক্রিজে আর্বিভাব শিভাম দুবের। ১ চারের বিপরীতে ছিল ৪ ছক্কা। বিপরীতে দাঁড়িয়ে রুতুরাজও কম যাননি। ২৭ বলে করেছেন ফিফটি। এরপরেও খেলেছেন ২৭ বল। থেমেছেন ৫৪ বলে ৯৮ রানের ইনিংস। নাটারাজনের বলে শাহবাজ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ধোনি এসেই বাউন্ডারির দেখা পেয়েছেন। অবশ্য পরের বলে সিঙ্গেলস খেলেছেন। ইনিংসের শেষ দুই বলে শিভাম দুবে ছয় পেয়েছেন ১টি। তাতেই চেন্নাইয়ের ইনিংস গিয়েছে ২১২ পর্যন্ত।

 

 

২১৩ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভেঙে পড়ে হায়দরাবাদের ব্যাটিং। তুষার দেশপান্ডে শুরুতেই আউট করেন ট্রেভিস হেডকে। পরের বলেই তুলে নেন অনমলপ্রীত সিংহের উইকেট। ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদ প্রথম ধাক্কা খায়। সেটা সামলে ওঠার আগেই তুষারের তৃতীয় শিকার অভিষেক শর্মা। টপ অর্ডারকে একার দায়িত্বে শেষ করে দেন ভারতীয় এই তরুণ পেসার।

 

মিডল অর্ডারে ধস নামান মাথিশা পাথিরানা, রবীন্দ্র জাদেজারা। শেষ দিকে হায়দরাবাদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মুস্তাফিজ। যে দল অনায়াসে আড়াইশোর বেশি রান তোলে প্রথমে ব্যাট করলে, সেই হায়দরাবাদ থামল মোটে ১৩৪ রানে। পরে ব্যাট করতে নামলে চাপ সামলানোর ক্ষমতা হায়দরাবাদের কতটা আছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments