বিশেষ প্রতিনিধি,
সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের নরজুল নদীর উপর স্টিলের ব্রিজের সেতুর পাটাতন নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
বারবার এক স্থানে সমস্যা দেখা দেওয়ার পরও স্থায়ী ভাবে কাজ না করানো নিয়ে সওজ কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সরজমিনে দেখা যায়, রানীগঞ্জ সেতু চালু হওয়ার পর প্রত্যেক বড় বড় ট্রাক ও লড়িসহ বিভিন্ন ধরনের মালবাহী গাড়ী চলাচল করে আসছে। কিছু দিন ধরে স্টিলের ব্রিজের পাটাতন অল্প অল্প করে নিচে চলে যাচ্ছে।
এর মধ্যে মাঝে মধ্যে গাড়ী আটকে সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকে। স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকরা ঘটনার জন্য সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করেছে। সময় মত কাজ না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা আংশকা করছে তারা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিন লোড নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাড়ী এই স্টিলের ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে। পাটাতন নিচে চলে যাওয়ায় বড় দূর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। এ রোডে চলাচলকারী শ্রমিকরা জানান, রানীগঞ্জ সেতু চালু হওয়ার পর আঞ্চলিক এ মহাসড়কে বাড়ছে গাড়ির চাপ।
৫২ কিলোমিটার পথ কমায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য জেলা শহরে আসছে এই পথ দিয়েই। নরজুল নদীর উপর স্টিলের ব্রিজের জোড়াতালি দিয়ে চালু রাখার কারণে প্রায়ই যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বার বার পাতান নিচে চলে যাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রাং সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
উল্লেখ্য যে, ২২ আগষ্ট নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫০০ বস্তা সিমেন্ট সহ জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে আসার সময় বেইলি সেতুতে উঠতেই সেতু ভেঙে ট্রাকটি নদীর পানিতে তলিয়ে যায়।
এ ঘটনায় চালক সহ ট্রাকে থাকা দুইজনই ট্রাকের সঙ্গে ডুবে যায়। দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় চালক ফারুক মিয়া (৪০) ও শ্রমিক জাকির মিয়ার (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পূর্বে কয়েক বার সেতুতে সমস্যা হওয়ার পরও স্থায়ীভাবে কাজ করানো হচ্ছেনা বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।